ষ্টাফ রির্পোটার:
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আহমেদ বলেছেন, শওকত আলী চেয়ারম্যানের মদদ পুষ্ট হয়ে কাজ করিনি বলে আমাকে ১৬ টি মামলা দেওয়া হয়।
এলাকাবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে পোস্টার ফেস্টুন করেছি। সেটা এখন ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে ছাত্রদল, ২০১৩ সালের যুবদল করি এরপরে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হই। আমি যদি আওয়ামী লীগ করি তাহলে আমার বিরুদ্ধে কেন ১৬ টি মামলা দেওয়া হলো। আমি ৩ টি ইটভাটার মালিক সহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। আমি জনগনের সেবা করে যেতে চাই। আমি চেয়ারম্যান হলে তারা চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা করতে পারবেনা এজন্য বিরোধীতা করে।
বৃহস্পতিবার ( ২৭ মার্চ) দুপুর ১ টায় তার বক্তাবলী ফেরীঘাট সংলগ্ন অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে উপরোক্ত কথা বলেন।
আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান আরো বলেন,আজমেরী ওসমান আমার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছে। ২৪ জুলাইয়ের পরে চারটি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার মামলা খেয়েছি। বিএনপির বড় বড় আইনজীবীরা আমার পক্ষে কোর্টে দাড়িয়েছে।
কেন মামলা খেলাম। যারা বিরোধিতা করে হালিম ও তার বাবা মাদক বিক্রেতা, নজরুল মামলা খাওয়ার ভয়ে দুবাই চলে যায়।
৫ আগষ্টের পরে দেশে ফিরে আসে। আবুল খায়ের, হালিমরা শওকত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের লোকদের শেল্টার দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের যারা আছে তাদেরকে নজরুল, হালিম, খায়েররা রক্ষা করতে আমার বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ইউএনও স্যার ৭০ টি হাই স্কুলের সভাপতি হওয়ায় পরিষদের কাগজপত্রে সই করেন ১৫-২০ দিন পর। এতে করে জনগনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে ভোগান্তি পোহাতে হতো।
সব মেম্বারকে ডেকে নিয়ে ইউএনও স্যার বললেন আপনারা সব মেম্বার বসে মেন্ডেট নেন কাকে চেয়ারম্যান করা যায়।
আমরা ১০ জন মেম্বার বসে প্রথম প্যানেল চেয়ারম্যান পরিষদ গঠন করি। সেখানে আমাকে এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। আইনগতভাবে আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন ডিসি স্যার।
গত ১৯ তারিখ হতে জনগণের পক্ষে কাজ করছি। বক্তাবলীর কোন সন্তান যেন মাদকাসক্ত না হয়। যে কোনো মূল্যে মাদক বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করবো।
ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজি ওরা করে। ফারুক মেম্বারের ইটভাটা হতেও উল্লেখিতরা চাঁদা নিয়ে আসছে।
আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান তার দায়িৃত্ব পালনকালে বক্তাবলী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ও বিএনপি নেতা কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।