ষ্টাফ রিপোর্টার:
নিজের ঔরসজাত সন্তানকে একটু কোলে নিতে গিয়ে ব্যাপক মারধরের শিকার হলেন পিতা আশিকুর রহমান। এমন ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের আদালত পাড়ায়। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনগংদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঢাকা কদমতলী এলাকার মো.শহীদুল ইসলামের ছেলে মো.আরিফ।
লিখিত অভিযোগে আরিফ উল্লেখ করেন যে,আমার ফুফাতো ভাই আশিকুর রহমান (২৫) ১নং বিবাদীর মেয়ে দোলাকে অনুমান আড়াই বৎসর পূর্বে বিবাহ করে। সেই ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। নাম আবদুল্লাহ আহানাত বয়স ১৩ মাস। অনুমান ০৪ মাস পূর্বে ১নং বিবাদীর মেয়ে দোলা আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে আমার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে আবদুল্লাহ আহানাত কে ১নং বিবাদী নিয়া যায়। পরবর্তীতে আমার ফুফাতো ভাই তার সন্তান কে নানা বাড়ী থেকে আনার জন্য বিজ্ঞ আদালতের সরনাপন্ন হয়। বিজ্ঞ আদালত তাহার ছেলের বিষয় সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য অদ্য ২৮ অক্টোবর দিন ধার্য্য করে। সে মোতাবেক আমি আমার ফুফাতো ভাই আশিক, ফুফু বিলকিস, ভাবী আন্না ও বন্ধু আমির হোসেন হিরু (২৭) গন নারায়নগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে আসি। বিজ্ঞ আদালত কোন সিদ্ধান্ত দিতে না পারায় আমরা আদালত হইতে বাহির হয়ে বেলা সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ আইনজীবি সমিতির সামনে আসা মাত্র উক্ত মো.দেলোয়ার হোসেন,তার ছেলে সিয়াম,আক্তার হোসেনসহ বিবাদীরা আমাকে সহ আমার ফুফু ও ফুফাতো ভাই এবং ভাবীকে চারিপাশ থেকে ঘিরিয়া ফেলে। ১নং বিবাদীর নির্দেশে ২নং বিবাদী আমার নাকে মুখে এলোপাতাড়ী ভাবে কিল ঘুষি লাথি মারিতে থাকে। আমি মাটিতে পড়িয়া গেলে অন্যান্য বিবাদী আমাকে মারধর করিতে থাকে। তখন আমার ফুফাতো ভাই আশিক ও বন্ধু আমির হোসেন হিরু আমাকে রক্ষা করতে আসলে বিবাদীরা তাদেরকেও মারধর করে। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাদের কে হুমকি দেয় যে এ ব্যাপারে থানা/আদালতে মামলা করিলে জীবনের তরে শেষ করিয়া ফেলিবে। পরবর্তীতে আমার ফুফাতো ভাই আমাকে চিকিৎসার জন্য ৩০০ শয্যা বিশিস্ট হাসপতাল খানপুরে নিয়া চিকিৎসা করায়।