ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লায় সন্ত্রাস,নৈরাজ্য ও অরাজকতার প্রতিবাদে জনসভায় বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন বলেন,ছাত্ররা যখন আন্দোলনে নামলো তখন অহংকারী সেই শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলো। আমরা তো তাকে পালিয়ে যেতে বলেনি। ফুল দিয়েও ঢিল ছুড়ি নাই। কোন দিন দেখেছেন কোন দেশের এমপি মন্ত্রী পালিয়ে গেছে। যায়নি কিন্তু তারা কেন পালিয়ে গিয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে কারন সে জানতে পেরেছে কিছুক্ষণ সময় যদি সে থাকে তাহলে তাকে শেষ করে দিবে। সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গিয়ে তার দলকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে,তার নেতাকর্মীদের ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের উপর আল্লাহর গজব পড়ছে। আন্দোলনে পর তারা পালিয়ে রয়েছে কারন তারা আন্দোলনের পর সামনে আসলে তাদের ছাত্ররা ছাড়বে না। এমন কোন গ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা নাই যারা পালায় নাই। তারা কেন পালিয়েছে তাদের কর্মের কারনে। কারন তারা মানুষের জন্য ভালো কিছু করে নাই। আমরাও তো ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছিলাম নির্বাচনের মাধ্যমে। কই আমরা পালাইনি তাহলে আপনি পালালেন কেন?
১৮ই অক্টোবর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় বক্তাবলি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে উক্ত কথা বলেন তিনি।
বক্তাবলি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মিলন মেহেদীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোঃ হাসান আলীর সঞ্চালনায় জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃগিয়াস উদ্দিন।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন বলেন,দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে ২০০১ সালের পরই। অনেক করুন সময়ে অনেক ছাত্র আমাকে দেখেনি। আমি যখন এখানে ফেরীঘাটে এসে উপস্থিত হলাম দেখিলাম এখানে অনেক মানুষ উপস্থিত হয়েছে। আমার নাতীর বয়সি মানুষ হাত মেলানোর জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি আমার পরিবার আপনাদের কাছে অনেক কতৃজ্ঞ। বক্তাবলির এমন কোন জায়গা নেই যে নির্বাচন এর সময় আপনাদের কাছে আমি যাই নাই। আমাকে আপনেরা যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা আমি রাজনৈতিক জীবনে পাই নাই। আমার সফর সঙ্গীদের জামাই আদর করেছেন। আমার পরিবার আপনাদের এই আপ্যায়ন কখনো ভূলবে না। আমার পরিবার ও আমার সন্তানদের নির্দেশ দিয়েছি সব সময় আপনাদের প্রতি খেয়াল রাখতে।
তিনি আরো বলেন,আপনেরা কি কখনো শুনেছেন কোন দেশের বিচারক, পুলিশ শিক্ষক, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিন, ডিসি, এসপি, সচিবরা পালায়? কিন্তু বাংলাদেশে পালিয়েছে। কারন তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আওতাধীন ছিলো। তারা বিচার বিভাগকেও স্বাধীনতা দেয় নাই। পুলিশ বাহিনী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের কোমলমতি শিশুদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। মসজিদের ইমাম দিয়ে যেভাবে বলতেন সেভাবেই ফতুয়া দিতো। ডিসি, এসপি,সচিব এরা সরকারের লোক। তারা পালিয়ে গিয়েছে কারন হাসিনা সরকার সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ দিয়ে সরকার গঠন করেছে। আমাদের দেশটাকে যখন স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন,নির্দলীয় লোকদের দিয়ে এই সরকার গঠন করা হয়েছে তাহলে কেন আপনেরা পালিয়েছেন। আপনেরা চাইলেই তো আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে পারেন। আপনেরা কেন পালিয়ে আছেন? কেমন রাজনীতিবিদ আপনেরা? আপনেরা বোরকা পড়ে পালিয়েছেন। আপনাদের বিচার জনগনই করেছে। আপনেরা রাজনীতিকে ধ্বংস করে গিয়েছেন। কাপুরুষদের রাজনীতি করার দরকার নাই। নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান ২০০১ সালে বোরকা পড়ে পালিয়েছে এবারও তার পরিবার নিয়ে পালিয়েছে। নেতাকর্মীদের কোন খবর নেন না। এমন নেতার পিছনে আপনেরা যান।
গিয়াস উদ্দিন দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলের নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ কেউ ভাইয়ের রাজনীতি করবেন না। দলের রাজনীতি করবেন। দলের জন্য কাজ করবেন। কোন ভাইয়ের রাজনীতির জন্য না। এই বক্তাবলির পরগণার মানুষ আমার, আমি বক্তাবলির পরগণার মানুষ। আমার কাছে যেতে হলে কোন নেতাকে নিয়ে যেতে হবে না। আমি এটা পছন্দ করি না। আপনেরা আমাকে যদি নাও পান তাহলে আমার পরিবার থাকে তাদের সাথে কথা বলবেন। তারপরই কোন নেতাকে নিয়ে আমার কাছে যাবার প্রয়োজন নেই।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান মাহামুদ মোল্লা, লোকমান হোসেন, আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সাধারণ সম্পাদক এড.বারী ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক এড.খন্দকার আক্তার হোসেন, শ্রমিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মন্টু মিয়া, কুতুবপুর বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন প্রমূখ।