ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন পূর্ব ইসদাইর এলাকার এককালের যুবলীগের দুর্ধর্ষ ক্যাডার জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল এখন বিএনপি’র বড় নেতা বনে যাওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ঝুট সেক্টর ও ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান দখল করে কোটি কোটি টাকা এবং ধন সম্পদের মালিক বনে গেছে।
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা হবার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিএনপি নেতা কর্মীরা জানান, গত ১৫ বছরে জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল পূর্ব ইসদাইর এলাকায় নানান অপকর্ম করে সাধারণ মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।
বিশেষ করে বিএনপি নেতা কর্মীদের বাড়ির ঘরে হামলা,ভাংচুর,লুটপাট সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল।
চিটাগাং রোডে বেগম খালেদা জিয়ার লং মার্চে অঘা মিঠু,পাগলা তুহিন, সাজনু, গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়ার লং মার্চে বাঁধা দিয়ে এলাকায় এসে পাওলো গার্মেন্টস সংলগ্ন সুবর্না ডাইংয়ে এসে বসে বিশাল বাহিনী নিয়ে।
ঐখানে শামীম ওসমানের অবৈধ অস্ত্রের পরীক্ষা করতে গিয়ে ভুলবশত জুয়েলের(নিজের) পেটে গুলিবিদ্ধ হয়।
বিএনপির ক্ষমতায় আসার পর গিয়াসউদ্দিন এমপির নাম বিক্রি করে বিএনপি করতে চেয়েছিল। ঐ সময় এলাকার ছেলেদের সাথে জুয়েলের গোলাগুলি হয় তার বাড়ির সামনে। এলাকা ছেলেদের কাছে পরাজিত হয়ে কাজী বাড়ি একটি ঘরের কাড়ে লুকিয়ে ছিল। ভয়ে প্রশ্রাব- পায়খানা করে দেয় বলে জানা যায়।
ঐখান থেকে শফিক, সেলিম, সহ আরো অনেকে উদ্ধার করে জুয়েলকে বাসায় পৌঁছে দেয়।
গত ২০ বছর নারায়নগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাজনু, ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা আজমত আলী, ক্যাডার মানু, শামীম ওসমানের শ্যালক নিপু এদের শেল্টারে আবারো আওয়ামী লীগ করা শুরু করেন।
এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জামান, শিমুল, নাসিরকে আশ্রয়- প্রশ্রয়্র দেওয়া শুরু করে।
এভাবে এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন।
ছোট পিক আপ ভ্যান গাড়ি ব্যবসার সুবাদে নিতাই গঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ডের শ্রমিক নেতা মানিক সহ অন্যদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এদের মধ্যে দুর্ধর্ষ ক্যাডার হাজ্বী রিপন ও বর্তমানে পলাতক ডিশ বাবু অন্যতম।
এখন আবার ভোল পাল্টে বিএনপি করার পায়তারা করছেন। ফতুল্লা থানা তাতী দলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান উজ্জলের মাধ্যমে।
এমনকি উজ্জল এর কয়েকটি অনুষ্ঠানেও জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলকে দেখা গেছে। এতে করে জুয়েলের হাতে নির্যাতিত নেতাকর্মীরা ক্ষোভ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করেন যেন জুয়েলকে কোনভাবে বিএনপি’র আশেপাশে নেওয়া না হয়।।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলের ০১৭১৪০৩৫১** মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ফোন রিসিভ করে বলেন, এখন খাওয়া দাওয়া করছি।
পরে আবার ফোন দেওয়া হলে একটু পরে ফোন দিচ্ছি বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ফলে তার পুরো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
(চলবে)