ষ্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ইসদাইরে মাদক বিক্রেতা শামীম হত্যাকান্ড ঘিরে দুই স্কুল শিক্ষার্থী জসিম ও ওয়াসিম সহ রাজ্জাকের শ্যালককে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাদ মাগরিব ইসদাইর টিনের মসজিদ এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার।
তারা বলেন,ইসদাইর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি কে কেন্দ্র করে শামীম ও তার সহযোগীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।ঘটনাস্থলে শামীম মারা যায়।
শামীমের স্ত্রী শর্মী আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় রাজ্জাক, মোহাম্মদ আলী, রেহান,জাকির, আলম, ফরিদ,জাহিদ সহ অজ্ঞানামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
নিহত শামীমের সাবেক স্ত্রী শর্মীর বর্তমান স্বামী মাদকের বরপুত্র সম্রাট, অপু, সৌরভ, রুবেল ওরফে কুত্তা রুবেল, খাইরুল, শামীম হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে রাজ্জাকের নিরীহ দুইপুত্র জসিম ও ওয়াসিম এবং এক শ্যালককে জড়ানোর অপচেষ্টা করছে।
শামীম ও মানিক মাদকের ডিলার ও বন্ধু ছিল।দুইজনেই মারা গেলে ইসদাইর এলাকায় মাদকের রামরাজত্ব গ্রহন করে নিহত শামীমের সাবেক স্ত্রী ও মাদকের ডিলার সম্রাটের বর্তমান স্ত্রী শর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন,শামীম হত্যা ঘিরে আমার ভাই শান্তকে বেদম মারধর করে শর্মী ও সম্রাট বাহিনী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ দিন পর মারা যায়।
আমার বাবা মোঃ এরশাদ তারাবীহ নামাজ পড়ারত অবস্থায় মসজিদ থেকে বের করে নির্মম ভাবে পিটিয়ে আহত করে। ৬ মাস মতলব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে আমার বাবা মারা যায়।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে অপরাধ যদি করে থাকি আমিই করেছি।আমার বাবা, ভাইয়ের দোষ কি করেছিল।আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের ও শ্যালক শামীম হত্যাকান্ডে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য তারা মোটা অংকের টাকা দাবী করছে।
আমি দীর্ঘ দিন আমি জেলখেটে বের হয়ে আসছি।আমি আমার ভাই শান্ত ও বাবা এরশাূ হত্যার মামলা করবো।এজন্য আমি নারায়ণগঞ্জের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত মোঃ এরশাদের স্ত্রী পলি বেগম, পুত্র আব্দুর রাজ্জাক,রাজ্জাকের বন্ধু মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।