ষ্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি করছে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন অফিসের কর্মীরা।
১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টায় শুরু হওয়া কর্মসূচি চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অফিসের বাইরে এ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ঘোষণা না থাকলেও অফিসের বাইরে মানববন্ধনে থাকায় দুই ঘণ্টা নাগরিকদের এনআইডি সেবা বন্ধ থাকে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচিতে অংশ নেন
জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার আফরোজা খাতুন সহ সহকারী নির্বাচন অফিসার ও নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এসময় মানববন্ধন থেকে জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন,এই এনআইডিকে আমরা ১৮ বছর ধরে লালন করেছি নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিয়েছে। ২০২৩ সালে একটি আইন করে শুধু এনআইডি সেবা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার চেষ্টা হয়। অন্তর্র্বতী সরকার বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে এনআইডি ইসির অধীনেই রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে দেখা যাচ্ছে, এটার একটা খসড়া করে আলাদা একটি কমিশন বানিয়ে এনআইডি তার অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটার আমরা বিপক্ষে।
তিনি আরও বলেন, সংসদের আইন দ্বারা অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় আইন দ্বারা এটা পরিচালিত হয়ে আসছে এবং বিগত ১৮ বছর ধরে সেবা দিয়ে আসছে। এটার সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের বিভাগে বর্তায়। এটা যদি পরিবর্তন করে অন্য বিভাগে নিয়ে যায় তাহলে এটা নির্বাচনে হুমকীর মুখে পড়বে। কারন এনআইডি ও ভোটার তালিকা মুদার এপিট ওপিট। এনআইডি এমনভাবে জন্ম হয়েছে যে এটা কমিশন থেকে আলাদা করার মতো নয়। ডাটাবেজ একটা। কোনো প্রতিষ্ঠান এনআইডি নিতে হলে ভোটার তালিকাও নিতে হবে। এনআইডি নিলে ভোটার তালিকা ব্যাহত হবে। এছাড়া এনআইডি ইসির অধীনে না থাকলে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত হবে, এমন উদ্বেগ যৌক্তিক। এনআইডি আলাদা হলে নির্বাচন ব্যবস্থাই বাধাগ্রস্ত হবে। এনআইডির জন্ম হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সুতরাং এটি এখানেই থাকা দরকার।
অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার রাকিবুজ্জামান বলেন, নির্বাচন অফিসে ভোটার তালিকা হচ্ছে তার সাংবিধানিক কার্যক্রম এবং ভোটার তালিকার বাইপ্রোডাক্টই হচ্ছে এনআইডি। এনআইডির জন্য আলাদা কোন সেট আপ লাগে নাই। আলাদা কোন খরচ লাগে নাই।অথচ এখান থেকেই আমরা জাতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।স্বাধীনতার পর যে বিভিন্ন কার্যক্রম গুলো হইছে তার মধ্যে কিছু কার্যক্রম সফল বলে আমার মনে হয় না। যেমন ১৮ কোটি জনগনের জন্য ২৪ কোটি আছে মনে হয় জন্মনিবন্ধন। কিন্তু এনআইডি পিওরিটি নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। তাই আমরা বলবো এনআইডি নির্বাচন অফিসে থাকায় নিরাপদ ও শ্রেয়।