ষ্টাফ রিপোর্টার:
এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান লিটন। পিতা প্রয়াত নজরুল ইসলাম হলেও বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আলীর ভাতিজা হিসেবে বেশি পরিচিত তিনি। এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাসির উদ্দীনের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে চাচা মোঃ আলীর কারিশমায় প্রশ্নবিদ্ধ প্রহসনের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা স.ম নুরুল ইসলামকে কৌশলে পরাজিত করে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মোঃ হাবিবুর রহমান লিটন। তৎকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জ – ৪ আসনের সাংসদ সারাহ বেগম কবরীর সাথে সমন্বয় রেখে মোঃ হাবিবুর রহমান লিটন বিএনপির রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে চেয়ারম্যানী করেছেন বীরদর্পে। ে
পরে একেএম শামীম ওসমান সংসদ সদস্য হলে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওসমান পরিবারের পক্ষ থেকে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আসাদুজ্জামানকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনীত করা হয়। সে সময় শামীম ওসমানের হুংকারে লেজ গুটিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সওে দাড়ায় মোঃ হাবিবুর রহমান লিটন। চাচা কিং মেকার মোঃ আলীর জোড়ালো তদবিরও কাজে আসেনি তখন। চেয়ারম্যানের পদ হারিয়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপির সাথে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি সে। হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মী সভায় প্রধান অতিথি সাংসদ একেএম শামীম ওসমান স্থানীয় নেতাকর্মীদের সামনে মাম পানি পান করিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করান মোঃ হাবিবুর রহমান লিটনকে। তারপর থেকেই শামীম ওসমানের আস্থাভাজন হয়ে যান তিনি।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, শিল্পনগরী এনায়েতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সুবিধা নিতে থাকেন তিনি তার মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিচার শালিস অন্যতম।
সাংসদ একেএম শামীম ওসমান এনায়েতনগরে আসলে তার মঞ্চ পরিকল্পনা থেকে শুরু নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি সহ হাজী আসাদুজ্জামানের নির্বাচনের প্রধান এজেন্টের দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে পালন করেছেন। এনায়েতগর ইউনিয়নের মানুষের কাছে শামীম ওসমানের দোসর হিসেবে পরিচিত মোঃ হাবিবুর রহমান লিটন। ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন বিএনপি নেতা হিসেবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পায়তারা করছে। অথচ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলার দায়ে ফতুল্লা মডেল থানায় কয়েকটি মামলারও আসামী হলেন এ হাবিবুর রহমান লিটন। ৫ আগষ্টের পর ফতুল্লায় অবস্থিত দুটি তেল ডিপো যমুনা ও মেঘনা রয়েছে লিটন ও তার ভাই হাজী সাইদুর রহমানরিপনসহ তাদের দোসরদের দখলে। ৫ আগষ্টের পর যখন সদর উপজেলার অধীনস্থ প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের হওয়ার সুবাদে পালিয়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছে সেখানে এ হাবিবুর রহমান লিটনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান এখনও পর্যন্ত বহাল তবিয়তে রয়েছেন। গুঞ্জন রয়েছে যে,মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নাকি আওয়ামীলীগের দোসর চেয়ারম্যান হাজী আসাদুজ্জামানকে নিজ হেফাজতে রেখেই চেয়ারম্যানী দ্বায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতা করছেন এ হাবিবুর রহমান লিটন।
আওয়ামীলীগ সরকারের নির্যাতনের শিকার স্থানীয় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আমরা মামলা হামলার শিকার হয়েছি, বাড়ি ঘরে বসবাস করতে পারিনি, জেল জুলুমের শিকা হয়েও বিএনপির প্রতি অনুগত ছিলাম। আর গডফাদার শামীম ওসমানের দোসর হয়ে চাচা ভাতিজা বিগত সরকারের আমলে ফায়দা হাসিল করলেও এখন লেবাস পাল্টিয়ে বিএনপি হওয়ার চেষ্টা করছে। এসব স্বার্থবাদী দালালদের বিরুদ্ধে শহিদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এরা যেন কিছুতেই বিএনপিতে অনুপ্রবেশ না পারে সেদিক সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।