ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুরে আতংকের আরেক নাম সোর্স শান্ত। দিন যতই গড়াচ্ছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে ।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় নারয়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরের রসুলপুর এলাকায় রাজ্জাকের ছেলে সোর্স শান্ত একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র তৈরি করে এলাকার সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা এলাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া যায়। ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বিএনপির নাম ব্যবহার করে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শান্ত। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে গার্মেন্টস কর্মী সাইফুল ইসলাম তার কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেতনের ১৪৫০০ টাকা এবং একটি ২২ হাজার টাকা দামের রিয়েল মি মোবাইল সেট নিয়ে যায় এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলে এই বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তোকে গুলি করে মেরে ফেলব বলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে চলে যায়। একই দিনে দুপুরে কুতুবপুরের শাহী বাজার এলাকার মোঃ মোজাম্মেলের ছেলে সোহেল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সোর্স শান্ত, হৃদয়, মহণসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যাহাতে উল্লেখ করা হয়েছে সোহেল কে রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে তার বাড়িতে হাত পা বেঁধে মারধর করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। পরে খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। ৬ সেপ্টেম্বর ভোরে কুতুবপুরের নুর বাগ এলাকায় পিজুস নামের এক মাছ ব্যবসায়ী কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার ব্যবসার ১৭০০০ টাকা মারধর করে নিয়ে যায়।
কুতুবপুরের এই বেপরোয়া সোর্স শান্ত তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রতিদিনই মানুষ কে তার অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বর্তমান দেশের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এমন জঘন্যতম কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মুল কারন হচ্ছেছ এলাকায় টহলরত কোন পুলিশ নাই। এমনকি এই ধরনের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে না আসায় অভিযোগের কোনরকম তদন্ত না থাকার কারণে এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে সোর্স শান্ত।
১০ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুবপুরের এক মুদি ব্যবসায়ীকে মারধর করে নগর ৩৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। সে এলাকায় ব্যবসা করে বিধায় এই বিষয়টি থানায় কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ করেনি।, সোর্স শান্তর এখন কর্মকান্ডে আতঙ্কিত কুতুবপুরের সাধারণ মানুষ।
এই বিষয়ে এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।