জাগো নারায়ণগঞ্জ:
ফতুল্লার মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে ডাকাত এবং পুলিশের কথিত সোর্সদের নিয়ন্ত্রণে। কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শতাধিক সেলসম্যান। পৃথক সিন্ডিকেট গড়ে এবং প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে ফতুল্লা স্টেশন ব্যাংকলোনী, শাহজাহান রোলিং মিল,খোঁজপাড়া এলাকা। এসব এলাকায় মাঝেমধ্যে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলেও তা সেলসম্যান আটকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। অনেক সময় পথেই দেনদরবারের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের ছড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে শেল্টারদাতারা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এসব ব্যবসায়ীদের দমনে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার দাবি করেছেন সচেতন মহল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফতুল্লা স্টেশন ব্যাংককলোনী এলাকা মাদকের নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে দীর্ঘদিন ধরে। এলাকার পুলিশ সোর্স মামুনের সহযোগীতায় মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করছেন শাকিল,আলামিন, রাজিব,ডাকাত শাহীন, মাইছ্যা মহসীন(জেলহাজতে),হানিফ,ডিসান ওরুফে ভাঙ্গারী ডিসান। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী। এই চক্রটি স্থানীয় প্রভাবশালীদের শেল্টারে এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবা, হিরোইন, আইচ বিক্রি করছে।
অপরদিকে, শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় ডাকাত শাহাবুদ্দিন, সাউদ সোহেল, ফাহিম, জমিদারের নাতি সাজ্জাদ নিজের পুলিশের সোর্স দাবি করে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো হামলা,হুমকীর ঘটনা ঘটেছে। ফলে ভয়ে কেউ এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছে। অপর দিকে, খোঁজপাড়া, কবরস্থান সংলগ্ন বাউন্ডারি এলাকায় মাদকের নিরাপদ ঘাঁটি বানিয়ে মাদক ব্যবসা করছে হাসান ওরুফে দাউত্যা হাসান, টিকিমারা লিটন, হাসান এবং লিটনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কয়েকডজন সেলসম্যান। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত নানা কৌশলে হিরোইন, ইয়াবা,গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। হাসান এবং লিটন ইতোপূর্বে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। টিকিমারা লিটন ফতুল্লা পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী।
এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে উঠতি বয়সের কিশোর,যুবকরা মাদকাসক্ত হওয়ার পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাদক বিরোধী অভিযান দাবি করছে এলাকার সচেতন মহল।