ষ্টাফ রির্পোটার:
ফতুল্লা মডেল থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা একাধিক ছাত্র- জনতা হত্যা মামলার আসামী বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রশিদ জামিনে বের হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন অপকর্মে সাথে জড়িত ছিলো এবং সে চর বক্তাবলী জাকির হত্যার মামলার এজাহার নামীয় ২ নং আসামী। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
রশিদ মেম্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকের জমি জমা দখল,মাছের ঘের দখল, বক্তাবলী ফেরী ও ট্রলার ঘাট দখল,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা, ভাংচুর, লুটপাট দখল করা সহ র্যাব,পুলিশ ও ডিসির বরাবর একাধিক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ভূক্তভোগী মহল।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে বাধ্য হয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, রশিদ মেম্বারের রাজনৈতিক গুরু গডফাদার বলে খ্যাত শামীম ওসমান ও বক্তাবলীর আতংক শওকত আলী চেয়ারম্যান পালানোর পর রশিদ মেম্বার রুপ পরিবর্তন করে নিজেকে বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের হত্যার অভিযোগে ৪/৫ টি মামলা রয়েছে।
ফেরীঘাট, বালুর গদী, মাছের খামার, ডিস ও ওয়াইফাই, ব্যাবসা, জমি দখল করতে শুরু করেন রশিদ মেম্বার ও তার অনুসারীরা এবং বক্তাবলী ফেরীঘাট সংলগ্ন কনকর্ড পাম্পের মালিকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করেন। না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তখন কনকর্ড পাম্পের মালিক বাদল মিয়ার ডাক চিৎকারে দিলে আশে পাশের লোক জন এসে রশিদ মেম্বার কে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে রহস্য জনক কারনে ছেড়ে দেন।
এরপরেই রশিদ মেম্বার উল্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক বাদল মিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করায় এবং তার নামে ছাত্র হত্যা মামলা দিয়ে তাকে আটক করায় বলে অভিযোগ রয়েছে। রশিদ মেম্বার কে পরে র্যাব আটক করে ফতুল্লা মডেল থানায় সোর্পদ করে। বেশ কিছুদিন জেল খাটার পর আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে জামিনে বের হয়ে আসে রশিদ মেম্বার। কিছুদিন শান্ত থাকার পর আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পেতে রশিদ মেম্বার।
ব্যবসায়ী বাদল মিয়া কখনোই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো না। সে একজন বিএনপির কর্মী। খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া মুক্তি পরিষদ নারায়নগঞ্জ জেলা সহ সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন বলে জানা যায়।
ব্যবসায়ী বাদলকে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা কালিন আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রশিদ মেম্বারের দেওয়া নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলার আসামী হয়ে কয়েক বার জেল ও খাটেন বাদল।
এলাকাবাসীর একটাই দাবী অতি দ্রুত বাদল মিয়া কে এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক ও একাধিক মামলার আসামী আব্দুর রশিদ মেম্বার কে আইনের আওতায় এনে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জোর দাবী জানিয়েছে ভূক্তভোগী সহ এলাকা বাসী।