জাগো নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুর কাউয়াপাড়া এলাকার একসময়ের তরকারি বিক্রেতা জানে আলম বাদশা এখন কোটিপতি সংবাদ প্রকাশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।গত মঙ্গলবার সময়ের সাহসী অনলাইন নিউজ পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।অনেকে জাগো নারায়ণগঞ্জ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে দূর্নীতি দমন কমিশন কে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানিয়েছেন।
সংবাদটি পাঠকের অনুরোধে আবার তুলে ধরা হলোঃ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর দাবি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলেই তরকারি বিক্রেতা থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হবার রহস্য বেরিয়ে আসবে জানা যায়।
কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুর কাউয়াপাড়া এলাকার জানে আলম বাদশা নানান অপকর্মের হোতা।
কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া হত্যা কান্ডের অন্যতম মাষ্টার মাইন্ড হিসেবে এলাকায় প্রচারনা রয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ, বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে তার নিকট থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিতে বাধ্য করা, জমির ক্রয় বিক্রয়ের করতে গেলে একটা নির্দিষ্ট হারে টাকা প্রদান করা, অন্যের জমি দখলের চেষ্টা করা, মাদক বিক্রেতাদের সাথে আঁতাত করে মাদক বিক্রিতে সহযোগিতা করা সহ নানান অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভোলাইল বাজার মিষ্টি দোকান সংলগ্ন স্থানে তরকারি বিক্রি করতো। অত্যন্ত ধুর্ত বাদশা ওরফে তরকারি বাদশা সখ্যতা গড়ে তোলে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদলের পুত্র সাজনের সাথে। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জানে আলম বাদশা ওরফে তরকারি বাদশা কে।
যাকে এলাকাবাসী তরকারি বাদশাহ হিসেবে চিনে থাকে। সাজনের শেল্টার পেয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠে তরকারী বাদশা।
রাতারাতি ধনী হওয়ার খায়েশে সাজনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করতে থাকে। এতেই তরকারী বাদশার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। জমি দখল, মাদক ব্যবসার শেল্টার,অধিক মূল্যে বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী নিতে বাধ্য করা, জমি ক্রয় বিক্রয়ে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে অর্থ আদায়, অন্যের জমি দখলের চেষ্টা করা।
তা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি একমাত্র ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ার কারণে। এলাকাবাসীর জানান দুর্নীতি দমন কমিশন সুষ্ঠু তদন্ত করলে মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকা ধন সম্পদ আয়ের রহস্য বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে জানে আলম বাদশা মুঠোফোনে জানান,আমি তরকারী বিক্রি করছি ২০০৮ সাল পর্যন্ত, আমার ড্রেজার,মুদি ব্যবসা,ইট বালু ব্যবসা রয়েছে।নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলের সাথে আমার ব্যবসা রয়েছে।আজকেও রাজু আমার সাথে কথা বলেছে।শুধু আমি না,আমার পরিবারের কেউ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না।আপনি এসে জানেন, যদি পান পত্রিকা ভরে লিইখেন।অভিযোগ গুলো সত্য নয়।