ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জে বর্তমানে আলোচিত বিষয় হচ্ছে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রবীন এক আওয়ামীলীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনাটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেই ভয়ানকভাবে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের ভিডিও ফুটেজটি প্রচার করা হলে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয় এবং সর্বদিক থেকেই ধিক্কার শুরু হয়।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও আলীপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো.সুরুজ মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের চৌকস অভিযানের মাধ্যমে মামলার প্রধান আসামী আলাউদ্দিন হিরাসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয়দের দাবী, দুর্ধর্ষ এ অপরাধ জগতের নক্ষত্র দুই সহোদর আলাউদ্দিন হিরা ও সালাউদ্দিন সালু এতটা বেপরোয়া হওয়ার পেছনের ইন্ধনদাতা কে ? একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করে কিভাবেই বা তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে দমানোর মত কোন ব্যক্তি কি নেই কাশিপুর ইউনিয়নে। নাকি যারা দমন করবে তারাই তাদের স্বার্থ রক্ষায় হিরা-সালুগংদেরকে লালন-পালন করছেন। তবে স্থানীয়দের মতে ইউপি চেয়ারম্যান,তার ছেলে ও চেলা-চামুন্ডা এবং ২নং ওয়ার্ড মেম্বারের নামটিই উঠে আসছে সর্বজনের মুখে। তবে রাজনৈতিক সকল মিছিল-মিটিংয়ে চেয়ারম্যান পুত্র সাজন এবং ইউপি সদস্য ইমদাদুল হক খোকার নেতৃত্বেই অংশ নিতো হিরা-সালুগং। তবে এলাকাতে গুঞ্জন উঠেছে যে,সুরুজ হত্যান্ডের আগের দিন নাকি চেয়ারম্যান পুত্র সাজন নারায়ণগঞ্জের বাহিরে চলে যান। যা স্থানীয়দের সন্দেহের মাত্রা আরো প্রখর হয়ে উঠে।
এদিকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিরা ও সালু যে চেয়ারম্যান ও তার চেলা-চামুন্ডাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পুরো এলাকাতে সন্ত্রাসের তান্ডবলীলা চালাতো তাও এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের মাঝে। ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে উঠোন বৈঠকে পাশাপাশি চেয়ারেই মঞ্চে বসা ছিলো সুরুজ হত্যা মামলার প্রধান আসামী আলাউদ্দিন হিরা। আবার চেয়ারম্যানের সেকেন্ড ইন কমান্ড রেহান শরীফ বিন্দুর সাথেও একই সোফায় পাশাপাশি বসে রয়েছেন এ কিলার হিরা। এ ছাড়াও আরও কতকিছু রয়েছে চেয়ারম্যান ও তার চেলাচামুন্ডাদের সাথে তা বলে শেষ করার মত নয় বলে জানান স্থানীয়রা। তারা বলেন, হিরা ও সালুর নেতৃত্বে যে সকল অপরাধীদের টিম ছিলো তার পেছনেও নাকি ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলের হাত ছিলো। তবে পুরো কাশিপুর জুড়ে যে কিশোরগ্যাং এবং অপরাধজগত রয়েছে নির্মুল করতে হলে প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের পুত্রসহ চেলাচামুন্ডাদের আইনের আওতায় আনা গুরুত্বপুর্ন হয়ে দাড়িয়েছে এমনটাই অভিমত স্থানীয়দের।
দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কিলার হিরা-সালুগংরা যে প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থেকেই যাবতীয় অপকর্ম করছে তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখেনা।
তবে স্থানীয়রা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কিলার হিরা-সালুগংদের মদদদাতা ও গডফাদারদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোড় দাবী জানান।