নারায়ণগঞ্জ সোমবার | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষঃ
রেলওয়ের জায়গা দখল করে শ্রমিকদল নেতা সফির ঘর নির্মাণ!
অসুস্থ বিএনপি নেতা অধ্যাপক মনিরুল ইসলামকে দেখতে গেলেন মুহাম্মদ সাদরিল
ইসলামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে মানেই চাঁদাবাজীর অভয়ারন্য!
বকশীগঞ্জে রফিক ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ
বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য কতদূর কী করার আছে ভারতের?
“সারাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখার মানববন্ধন”
আমতলীর ইউএনওর বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন!
আমতলীতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্বামীর আত্মহত্যার নাটক!
জনগণের রক্ত নিয়ে যারা হোলি খেলেছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না -মুফতি মাসুম বিল্লাহ
ইসলামপুর মোটর সাইকেল সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যু আহত দুই
সোনারগাঁয়ে ফেন্সিডিলসহ আটক-১
সোনারগাঁয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ 
আমতলীতে খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ!
ফতুল্লায় গাড়ী চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
হাসিনা-টিউলিপের রাশিয়া সফর ও ৪ বিলিয়ন পাউন্ড ঘুস
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: ট্রাইবুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
ভয়ংকর যেসব মাদকে আসক্ত তিশা টয়া সাফা ও সুনিধি
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাগরনী ক্রীড়াচক্র ক্লাবের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরন
নারায়ণগঞ্জ বধির উন্নয়ন সংস্থার পক্ষে বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমতলীতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত
আমতলীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এতিম শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
আমতলিতে বিক্রি কালে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে টিয়াপাখী ও সাপ অবমুক্ত
সোনারগাঁয়ে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার-৬
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সীমান্ত হত‌্যাকান্ডে ছিনতাইকারী অ‌নিক গ্রেপ্তার
আলীরটেক ইউনিয়নের ডিক্রিরচর গুদারাঘাটে আরসিসি র‌্যাম নির্মাণ কাজ সম্পন্ন
নিষিদ্ধ সংগঠন রাতের আধারে ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে ইসলামপুরে বিএনপির বিক্ষোভ
কুতুব আইল শতদল সমাজ কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে বিজয় দিবস পালন
রূপগঞ্জে পূর্বাচল লেকে সুজানার পর মিলল শাহিনুরের লাশ
Next
Prev
প্রচ্ছদ
নারায়ণগঞ্জের ভূইঘড়ে গনপূর্তের পীর- মুরিদের বিশাল লেনদেন

নারায়ণগঞ্জের ভূইঘড়ে গনপূর্তের পীর- মুরিদের বিশাল লেনদেন

প্রকাশিতঃ

জাগো নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের পলাতক সাবেক ও অত্যান্ত প্রভাবশালী গডফাদার শামীম ওসমানকে ব্যবহার করে বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঠিকাদারদের মিলন মেলায় পরিণত করেছিলো  ভূঁইগড়ের হাকিমাবাদ খানকা-ই-মোজাদ্দেদিয়ার ‘পীর সাহেব’ আল্লামা হজরত মোহাম্মদ শামীম আখতার (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) মুরিদদের কাছে তার পরিচিতি  ভূঁইগড়ের হাকিমাবাদ খানকা-ই-মোজাদ্দেদিয়ার ‘পীর সাহেব’ আল্লামা হজরত মোহাম্মদ শামীম আখতার (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)। যিনি গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী। দেশ-বিদেশে খানকা শরিফের শাখায় পীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার ভক্ত-আশেকানরা। তবে পীরগিরির আড়ালে ঢাকা পড়েছে শামীম আখতারের মূল পরিচয়। পীর-মুরিদের তেলেসমাতিতে বোঝার উপায় নেই, তিনি দেশের অবকাঠামো খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী।

শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে কমপক্ষে তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক সরকারী কাজ করে গণপূর্ত । আর এই দপ্তরের ঠিকাদারদের ম্যানেজ বন্টন ও কমিশণ বস্তায় বস্তায় গ্রহণ করেছেন পলাতক এমপি শামীম ওসমান। প্রতিটি কাজের দশ (১০) শতাংশ কমিশন ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ ঠিকাদার সমিতির কথিত সভাপতি সালাউদ্দিন নিজের জন্য দুই (২) শতাংশ হারে কমিশন দিয়েই প্রত্যেক ঠিকাদার কাজ করতে বাধ্য হতেন । আর এই কমিশনর বাণিজ্যের পুরোটাই ম্যানেজ করতেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দপ্তর। সেই হিসেবে কথিত সভাপতি সালাউদ্দিন নিজেই কমপেক্ষে গেলো ১৫ বছরে নিম্নে ৩০ কোটি টাকা নিজেই হাতিয়ে নিয়েছেন আর শামীম ওসমানকে দিয়েছেন ১০ শতাংশ হারে ৩০০ (তিন শত) কোটি টাকা। এই বিশাল অনৈতিক অর্থ পুরোটাই পুরানো নোটের বান্ডিল বস্তা ভর্তি করে ট্যাক্সির বেকডালায় করে পাঠানো হতো শামীম ওসমানের পিএস মান্নার কাছে। শামীম ওসমানের পিএস মান্না সুবিধামতো স্থান কাল পাত্র বিবেচনা করে ওই বিশাল কমিশনের বস্তা ভর্তি টাকা গ্রঞন করে ফের বন্টন করতো মামীম ওসমানের নির্দেশনা অনুয়ারী। আর বিশাল এই বস্তা ভর্তি টাকা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের ভূঁইগড়ের হাকিমাবাদ খানকা-ই-মোজাদ্দেদিয়ার ‘পীর সাহেব’ আল্লামা হজরত মোহাম্মদ শামীম আখতার (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) এর আস্তানায় লেনদেন হতো বলেও গুরুতর গুঞ্জন রয়েছে।

নির্ভরশীল সূত্র নিশ্চিত করে জানান, আর দূর্ণীতির এতো বিশাল অর্থের অধিকাংশ বস্তা এই ভুইঘরের আস্তানায় লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন শামীম আখতার ও গডফাদার শামীম ওসমান

২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে চারটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ কাগজে-কলমে সেখানে সাতটি আয়োজন দেখিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এ খাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। ‘ভুয়া’ তিনটি অনুষ্ঠানের টাকা তুলে ভাগবাটোয়ারা করেছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ভিভিআইপি প্রোগ্রামের নামে এই অর্থ লোপাটের মূলহোতা প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, যার একক শাসনে চলছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। নিজেকে পীর হিসেবে জাহির করা এই প্রকৌশলীর লুটপাটের সঙ্গী আবার তার স্বীকৃত মুরিদরা। ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন মুরিদ এবং ঠিকাদার নুসরত হোসেন। অন্তত এক ডজন প্রকৌশলী এসব অপকর্মের সরাসরি অংশীদার।

মুরিদদের কাছে তার পরিচিতি নারায়ণগঞ্জের ভূঁইগড়ের হাকিমাবাদ খানকা-ই-মোজাদ্দেদিয়ার ‘পীর সাহেব’ আল্লামা হজরত মোহাম্মদ শামীম আখতার (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)। দেশ-বিদেশে খানকা শরিফের শাখায় পীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার ভক্ত-আশেকানরা। তবে পীরগিরির আড়ালে ঢাকা পড়েছে শামীম আখতারের মূল পরিচয়। পীর-মুরিদের তেলেসমাতিতে বোঝার উপায় নেই, তিনি দেশের অবকাঠামো খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী। আর তার আড়ালে থাকা এই পরিচয় ব্যবহার করে গণপূর্তে কায়েম করেছেন মুরিদানি শাসন। পীর সাহেবের পছন্দের মুরিদরাই নিয়ন্ত্রণ করেন সব ঠিকাদারি কাজ।

কয়েকদিন আগে মোহাম্মদপুর থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শাহ কামালকে ৩ কোটি টাকাসহ আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সূত্র বলছে, কিংডম বিল্ডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে আটক হন সাবেক ওই সচিব। কিংডম কনস্ট্রাকশন, কিংডম হাউজিং এবং কিংডম বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান শাহ কামাল। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরত হোসেন। উভয়েই শামীম আখতারের মুরিদ। এর মধ্যে নুসরত হোসেন মূলত গণপূর্তের সব রকম ঠিকাদারি কাজের ব্যবস্থাপনা, বণ্টন এবং কমিশন আদায় করেন।

গণপূর্তের অন্তত এক ডজন ঠিকাদার কালবেলাকে জানান, প্রায় চার বছর ধরে গণপূর্তের সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন নুসরত হোসেন। প্রধান প্রকৌশলীর মুরিদ পরিচয়ে তিনি সাধারণ ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীদের জিম্মি করে রেখেছেন। যে কোনো কাজ ১০% কমিশন ছাড়া বণ্টন করা হয় না। অন্তত তিনজন ঠিকাদার বলছেন, নুসরত হোসেনের কাছে অনেক ঠিকাদার অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছেন। যাতে ভবিষ্যতে কাজ পাওয়া যায়।

গণপূর্তের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় শতকোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে নুসরতের কিংডম বিল্ডার্সের। গত চার বছরে এই কোম্পানি অন্তত ২০০ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করেছে। তবে ঠিকাদাররা বলছেন, নুসরত নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে কম কাজ করেন। তিনি মূলত প্রধান প্রকৌশলীর ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করেন। সব কাজ ঠিকাদারদের মধ্যে বণ্টন এবং কমিশন আদায় করেন।

জানা যায়, ২০২০ সালে ছয়জনকে ডিঙিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শামীম আখতারকে। মন্ত্রীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে প্রভাব বিস্তার করে মেধাতালিকায় ৭ নম্বরে থাকার পরও প্রধান প্রকৌশলী পদে চলতি দায়িত্ব পান তিনি। প্রায় চার বছর ধরে তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ছয় মাসের বেশি কাউকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করার সুযোগ নেই।

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার আগে শামীম আখতার হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) মহাপরিচালক ছিলেন। সেখানেও মুরিদদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন ‘পীর সাহেব’। কখনো প্রকল্প পাস হওয়ার আগেই, কখনো দরপত্র ছাড়াই কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ পেয়ে যেতেন মুরিদ-ঠিকাদাররা। লাখ টাকা বেতনে প্রকল্পের পরামর্শক, কর্মকর্তা-প্রকৌশলী থেকে বাবুর্চি-মালির মতো পদগুলোয় নিয়োগের ক্ষেত্রেও ছিল একই অবস্থা। তৎকালীন মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে মুরিদদের ঠিকাদারিসহ নানা সুবিধা দেওয়ার তিনটি অভিযোগের প্রমাণ পায় এইচবিআরআইর তদন্ত কমিটি। এক বছর আগে তদন্ত প্রতিবেদন সচিবের কাছে জমা দিলেও বিগত সরকারের একাধিক মন্ত্রীকে দিয়ে তদবির করিয়ে প্রতিবেদনটি ধামাচাপার ব্যবস্থা করেন প্রকৌশলী শামীম আখতার।

পীর সাহেবের আরেক ঘনিষ্ঠ মুরিদ মোহাম্মদ ইয়ামীন। ক্যামিকন গ্রুপ নামে একটি কেমিক্যাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এইচবিআরআইয়ের মহাপরিচালক থাকাকালে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা বেতনে ইয়ামীনকে স্যান্ড সিমেন্ট ব্লক তৈরির কাজে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেন শামীম আখতার। কোনো টেন্ডার ছাড়াই আড়াই কোটি টাকার কাজ দেন ইয়ামীনকে। নিযুক্ত করেন গবেষণার কাজে। এইচবিআরআইয়ের টাকায় গবেষণা করে উৎপাদন করা কেমিক্যাল এইচবিআরআইয়ের কাছেই বিক্রি করেছেন ইয়ামীন। নিয়মবহির্ভূতভাবে ঠিকাদারি কাজ পাওয়া ছাড়াও রিসার্চ আর্কিটেক্ট, সিনিয়র ড্রাফটসম্যান, সহকারী মেকানিক, পেইন্টার, বাবুর্চি, মালিসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেয়েছেন মুরিদরা। মোহাম্মদ শামীম আখতারের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে এইচবিআরআই ও দুর্নীতি দমন কমিশনে একাধিক চিঠিও দিয়েছেন এইচবিআরআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

গণপূর্তের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাতটি ভিভিআইপি অনুষ্ঠান বাবদ ২৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। অথচ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই সময়কালে অনুষ্ঠান হয়েছে মাত্র চারটি। সাধারণত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভিভিআইপি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে গণপূর্ত লাইটিং, মাটি ভরাটসহ আনুসঙ্গিক কাজ করে থাকে।

জানা গেছে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গুলশানে তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে বিধিবহির্ভূতভাবে ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণ করে উপহার দিয়েছেন শামীম আখতার। টুঙ্গিপাড়ার বাড়ির কাজটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সকে দিয়ে করানো হয়।

শামীম আখতারের আরেক মুরিদ পাবনার সাজিন কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার শাহাদত হোসেন। গত চার বছরে নিয়ম না মেনে এই প্রতিষ্ঠানকে অসংখ্য কাজ দিয়েছেন শামীম আখতার। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আলোচিত বালিশকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল এই প্রতিষ্ঠান। সিন্ডিকেট করে ইন্টেরিয়রের কাজ করে প্যারাডাইম আর্কিটেক্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে এমন সব শর্ত আরোপ করা হয়, যাতে প্যারাডাইম আর্কিটেক্টস ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করতে না পারে।

এদিকে, প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে গত চার বছর দায়িত্ব পালনকালে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলি, পুনঃবদলি ও পদায়ন করেছেন শামীম আখতার। উপসহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে শুরু করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী—বাদ যায়নি কেউই। বদলি-পদায়ন স্বাভাবিক বিষয় হলেও গণপূর্তে এ নিয়ে চলেছে তুঘলকি কাণ্ড। আক্রোশের শিকার হয়েছেন অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সাবেক গণপূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের আমলে তৈরি হওয়া একটি সিন্ডিকেটকে এখনো বহাল রেখেছেন শামীম আখতার। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল আলম, প্রায় নয় বছর ধরে ঢাকায় থাকা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু, আইনুন নাহান এ্যানি, ফজলুল হক মধু, প্রধান প্রকৌশলীর স্টাফ অফিসার মাহফুজুল আলমের এই সিন্ডিকেট এখনো বজায় রয়েছে।

অভিযোগ আছে, সালমান এফ রহমানসহ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাশালী দুর্নীতিবাজদের সহযোগী ছিলেন শামীম আখতার। সর্বোচ্চ দরদাতাকে বাদ দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সালমান এফ রহমানের মনোনীত ব্যক্তিকে রমনা পার্কের ভেতরের চায়নিজ রেস্টুরেন্ট লিজ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া শামীম আখতারের বিরুদ্ধে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস, ফলাফল পাল্টে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে শামীম আখতারের আমলে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি ।

সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান প্রকৌশলীর স্টাফ অফিসার মাহফুজুল আলম গণমাধ্যমকে  বলেন, ‘আমি কোনো সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত নই। দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার বাছাই হয় মাঠপর্যায়ে। এতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

 

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরো খবর

উপদেষ্টা মন্ডলীঃ

ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম

সম্পাদক মন্ডলীঃ

মোঃ শহীদুল্লাহ রাসেল

প্রধান নির্বাহীঃ

মোঃ রফিকুল্লাহ রিপন

সতর্কীকরণঃ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি
অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও
প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সকল স্বত্ব
www.jagonarayanganj24.com
কর্তৃক সংরক্ষিত
Copyright © 2024

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

বনানী সিনেমা হল মার্কেট
পঞ্চবটী ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
ফোন নম্বরঃ ০১৯২১৩৮৮৭৯১, ০১৯৭৬৫৪১৩১৮
ইমেইলঃ jagonarayanganj24@gmail.com

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!