ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লা মডেল থানাধীন মাসদাইর মহাশ্মশানের সামনে থাকা প্রতিরোধ স্তম্ভটি যেন কোনভাবেই অবৈধ ব্যবসায়ীদের কবল থেকে রক্ষা করা যাচ্ছেনা। এ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলায় প্রশাসনের টনক লড়ার পর সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা এবং সেটাকে পুনরায় ব্যবহার না করার নির্দেশনা থাকলে তা যেন মানছেনা নিষিদ্ধ আওয়ামী দোসর যুবলীগ নেতা গাফ্ফার হোসেন। সেখানে পথচারীদের চলাচলে রাস্তার উপর নির্মান সামগ্রী এবং স্তম্ভের সামনে এখনও রয়েছে তার কংক্রিট ও বালুর স্তুপ।
সরেজমিনে সোমবার দেখা যায়, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাতের শশুর আওয়ামী যুবলীগের দোসর মিজানুর রহমান মিজান ওরফে বড় মিজানের বন্ধু আবদুল মোতালিব আয়রন ষ্টোরের কর্নধার আবদুল গাফ্ফার তার দোকানের সামনে পথচারীদের চলাচলের জন্য রাস্তার উপর ইট ও বালু স্তুপ করে রেখেছেন। পাশাপাশি শ্মশানের সামনে থাকা প্রতিরোধ স্তম্ভের সামনে রয়েছেন তার কংক্রিট ও বালুর স্তুপ। গত সপ্তাহে প্রশাসনের অভিযানে গাফ্ফার এবং দুই সাংবাদিকের উপর হামলাকারী মো.সালাউদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং এখানে যেন কোন নির্মান সামগ্রী না রেখে সাধারন মানুষকে চলাচলে ব্যাঘাত না করা হয় সেই নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন,জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির পিতা মোস্তফা কন্ট্রাটরের প্রত্যক্ষ মদদেই নাকি আওয়ামী দোসর গাফ্ফার হোসেন এখানে নির্মান সামগ্রী রেখে ব্যবসা করছেন এবং সাধারন মানুষের চলাচলে ভোগান্তি করছেন। কারন সেদিন ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনেই মোস্তফা কন্ট্রাকটর নিজেকে দাম্ভিকতার সহিত রনির বাবা পরিচয় দিয়ে সরকারী কাজে বাধাগ্রস্তর অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন।
তারা আরও বলেন,দীর্ঘদিন যাবত সালাউদ্দিন ও আবদুল গাফ্ফার সরকারী এ জমির উপর দোকান ঘর নির্মান করে ইট-বালু-সিমেন্টের ব্যবসা করে আসছেন। বিগত ১৭ বছরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে ওসমানীয় দাপটে তারা সরকারী জমির উপর দোকান নির্মান ও পথচারীদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। কিন্তু বর্তমানে বিএনপি ক্ষমতায় না আসলেও রনির পিতা মোস্তফা কন্ট্রাকটর এবং ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাতের শশুর বড় মিজানের বন্ধু হওয়ার সুবাদে গাফ্ফার হোসেন সরকারী জমি দখল এবং পথচারীদের রাস্তা দখল করে ইট-বালু ব্যবসা চালাচ্ছেন নির্বিগ্নে।
এখানে উল্লেখ্য যে,গত সপ্তাহে দুই সাংবাদিকের উপর হামলার দায়ের বড় মিজানের বন্ধু আবদুল গাফ্ফারেরও নাকি ইন্ধন রয়েছে এমনটাই গুঞ্জর শোনা যায় কবরস্থান এলাকাতে। সেই ঘটনায় হামলাকারী সালাউদ্দিন ও তার ভাই জাকিরসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জন আসামী রয়েছেন। সালাউদ্দিন বর্তমানে জেলহাজতে থাকলেও অন্যান্য আসামীরা রয়েছেন পলাতক। সেই সুযোগে মোস্তফা কন্ট্রাকটরকে ট্রামকার্ড বানিয়ে আবারো সরকারী জমি দখল করে ব্যবসার পরিসর বাড়িয়ে দূর্বার গতিতে ব্যবসা করছে নিষিদ্ধ আওয়ামী দোসর আবদুল গাফ্ফার।
সালাউদ্দিন ও গাফ্ফারগংদের কবল থেকে সরকারী জমি এবং প্রতিরোধ স্তম্ভের সুরক্ষায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেন সর্বস্তরের মানুষ।