ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাগল পূর্বপাড়া বৈরাগী বাড়ি এলাকার নানান অপকর্মের হোতা রাজিব তালুকদার ও তার সহযোগীদের অত্যাচার এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
রাজিব তালুকদার নাভি খোলার নাম করে মহিলাদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, পাগলা পূর্বপাড়া বৈরাগী বাড়ি এলাকার কবিরাজ বলে পরিচিত নানান অপকর্মের হোতা রাজিব তালুকদার নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও পাগলা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,খুনী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামি মীর হোসেন মিরুর সহযোগী রাজিব তালুকদার ও তার সহযোগীরা এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে নানান ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
কেউ এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতনের স্টিম রোলার। রাজিব তালুকদার,মনির এরা শাহ নিজাম এবং মীর হোসেন মিরুর ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় ভয়ে তাদের নির্যাতন সহ্য করে আসছে এলাকাবাসী।
এমনকি থানায় কেউ অভিযোগ দিতে গেলে বহু অপকর্মের হোতা রাজিব তালুকদার, শাহ নিজাম ও মিরুর প্রভাব খাটিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে নিতো।
রাজিব তালুকদার একজন স্কুল শিক্ষিকার সাথে দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে সেই মহিলাকে দিয়ে প্রতিবাদকারীদের মিথ্যা মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে নানান ভাবে হয়রানি করে থাকে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পাগলা এলাকার জনৈক এক ব্যক্তি বহু অপকর্মের হোতা রাজিব তালুকদার ও মনিরের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিরাপত্তা স্বার্থে উক্ত ব্যক্তির নামক ঠিকানা গোপন রেখেই অভিযোগটি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
বিবাদী ১। রাজীব তালুকদার (৪১), পিতা- মনোরঞ্জন তালুকদার, সাং- বৈরাগী বাড়ী, পাগলা পূর্ব পাড়া, ২। মনির (৪০), পিতা- আজহার, সাং- পাগলা বউ বাজার, কুতুবপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে লিখিতভাবে জানাইতেছি যে, ১নং বিবাদী এলাকার কু-খ্যাত কবিরাজ হিসাবে পরিচিত আছে। বিবাদী এলাকার বিভিন্ন লোকজনের নিকট হইতে চিকিৎসার কথা বলিয়া বিভিন্ন কৌশলে বোকা বানাইয়া মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়, বিভিন্ন রোগিকে বিবাদী মিথ্যা ভয় দেখাইয়া ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে ঘোমরা করিয়া টাকা হাতিয়ে নেয়। ১নং বিবাদী আমার প্রতিবেশি হওয়ায়, আমি বিবাদীকে একাধিকবার এরূপ কার্যকলাপ করিতে বারণ করিলে বিবাদী আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ১নং বিবাদী তাহার কবিরাজি ব্যবহার আড়ালে নেশা দ্রব্য বিক্রয় ও সেবন করে, বিবাদীর নিকট বিভিন্ন নেশাগ্রস্থ ব্যাক্তি রোগী সাজিয়া তাহার নিকট হইতে নেশা দ্রব্য ক্রয় করিয়া নিয়া যায়, এমনকি বিবাদী বিভিন্ন নারী রোগীদের চিকিৎসার কথ্য বলিয়া বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় ও তাহা মোবাইল ফোনের ভিডিও ধারন করিয়া রাখিয়া নারী রোগিদের নিকট হইতে টাকা হাতিয়ে নেয়। ১নং বিবাদী প্রায় সময়ই আমার বাসার সামনে নেশা দ্রব্য বিক্রয় ও সেবন করে, যাহাতে আমি বাধা প্রদান করিলে বিবাদী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০১/০৯/২০২৪ইং তারিখে সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭:৫০ ঘটিকার সময় ১নং বিবাদী ও ২নং বিবাদী আমার বাসার সামনে নেশা দ্রব্য বিক্রয় ও সেবন করার সময় আমি বিবাদীকে আমার বাসার সামনে হইতে অনাত্র চলিয়া যাওয়ার জন্য অনুরোধ করিলে বিবাদীদ্বয় আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে, আমি বিবাদীদ্বয়কে গালি গালাজ করিতে বারণ করিলে বিবাদীদ্বয় আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে এবং জানায় যে, যদি আমি বিবাদীদ্বয়ের কোন অবৈধ কাজে পূণরায় বাধা প্রদান করি বা কোথাও কোন প্রকার অভিযোগ করি তাহা হইলে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করিবে সহ জানে মারিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। বিবাসীদ্বয়ের এরূপ কার্যকলাপে আমি এতদিন। মান সম্মানের কথা চিন্তা করিয়া কোথাও কোন প্রকার অভিযোগ করি নাই কিন্তু বর্তমানে আমি সহ্য করিতে না পারিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করার আবেদন করিলাম।
এলাকাবাসী আরো জানান,উক্ত রাজিব আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের সাথে ছবি তুলে প্রচার করে তার সাথে সব নেতাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। গত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে শাহ নিজাম ও মীরুর নানান অপকর্মের সহযোগী রাজিবের রয়েছে সেন্টু চেয়ারম্যানের সাথেও দহরম মহরম।শাহ নিজাম,মীরু ও সেন্টুর সভা সমাবেশে মাদক সেবীসহ লোকজন নিয়ে অংশগ্রহণ করতো ।
গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায়। সেই সাথে মীরু ও শাহ নিজাম আতœগোপন করে। কিন্তু মীরুর সকল অস্ত্র ভান্ডার রাজিব তালুকদার ও মনিরের কাছে রয়েছে বলে আশংকা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে র্যাব,পুলিশ ও সেনাবাহিনী তদন্ত সাপেক্ষ রাজিব তালুকদার, মনির ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।