ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকারের পদত্যাগের দাবি করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী বৃন্দ। ১৫ই আগস্ট অত্র বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা এবং কর্মচারীবৃন্দ সম্মতিকর্মে লিখনের মাধ্যমে তারা এই পদত্যাগের দাবি জানায়।
এসময় শিক্ষকরা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার কারণে প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকারের যথাযথ নিয়োগ না থাকায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় নাই এতেই বুঝা যায় যে তিনি কোন অজ্ঞাত কারণে পালিয়ে আছেন।
তাই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্মতিকর্মেই আমরা সকল শিক্ষকরা এ বিষয়ে একমত পোষণ করি। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা সুলতানা, সিনিয়র শিক্ষক মশিউর, আবুল হাশেম, জিয়াউদ্দিন, পরিমল মালাকার সেলিম রেজা, আলমগীর হোসেন, নুরুল ইসলাম মৃধা, আব্দুল জলিল তালুকদার, সুরাইয়া পারভীন, চম্পা রানী বিশ্বাস, ইলিয়াস মিয়া, আরিফুল ইসলাম।
প্রায় ৭০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান। তাছাড়া অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য রেজাউল করিমের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমানের নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে চার বছর ধরে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভজেন্দ্রনাথ সরকারকে রেখেছেন।
২০২০ সালের ১৪ই জানুয়ারি পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকারের কর্ম দিবস শেষ হয়। তারপর থেকে তিনি স্থানীয় সংসদ এবং রেজাউল করিমের অবৈধ ক্ষমতার বলে দীর্ঘ চার বছর ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দখল করে রয়েছেন।
তাছাড়া পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয় ব্যায়ের হিসাব কোন কিছুই খোলামেসা করেননি প্রধান শিক্ষক বজেন্দ্রনাথ সরকার ও রেজাউল করিম। অত্র বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারীর প্রায় চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।
অত্র বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়েগ বাণিজ্য, অর্থ লুটপাট অবৈধভাবে চার বছর ৮ মাস পদে থাকা অত্র বিদ্যালয়ের আয়ের হিসাব না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্রনাথ সরকার ও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীরা।