Views: 6
ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা প্রতিটি পাড়ামহল্লায় মাদকের অপব্যহার নিয়ে কিশোর অপরাধীরা দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে। মাদক বিক্রি পাশাপাশি নেশায় জড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে চুরি, ছিনতাই, যৌন হয়রানি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা।
এমনকি অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ধ কিংবা অন্য কিশোর অপরাধীর সঙ্গে তুচ্ছ বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যার মত জঘ্যনতম অপরাধ থেকেও পিছপা হচ্ছে না এই কিশোর অপরাধীরা। এরা মাদক সেবন করার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এই কিশোর অপরাধীরা।
তবে থানা পুলিশের নিস্ত্রিয়তা এবং কিছু জায়গায় পুলিশের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতা এবং কিশোর অপরাধের নেতৃত্ব দানকারীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধার কারনে এ অপরাধগুলো প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। যদি থানা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দাবী,মাদক ও কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রনে পুলিশ সর্বদা “জিরো টলারেন্সে” রয়েছে। যা আদৌ সত্য কিনা তা বলা বাহুল্য। তবে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বসবাসকারীদের দাবী এটা নিছক পুলিশের দায়সারা হওয়ার একটি উক্তি।
এদিকে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠছে ভয়ংকর অপরাধী এবং এলাকার ত্রাস। এমনকি উঠতি বয়সের কিশোর অপরাধীরা নেশার টাকা যোগার করতে ভাড়াটে হিসাবে মানুষ হত্যা কিংবা নির্যাতনের মতো অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। তবে কিশোর অপরাধীর মাধ্যমে যখন কোন এলাকায় বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে ঠিক তখনি তৎপরতা দেখা যায় আইন-শৃংখলা বাহিনীকে। এ সময় কিছু কিশোর অপরাধীকে আটক করলেও তারা বয়সের দিন বিবেচনা করে আইনের মাধ্যমেই বের হয়ে পুনরায় শুরু করতে থাকে অপরাধকর্ম। কিন্তু সে সময় যদি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কৌশলে ঐ সকল কিশোর অপরাধীদের শেল্টার দাতাদের নাম সংগ্রহ করে উক্ত শেল্টাদাতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে হয়তবা কিছুটা হলেও কিশোর অপরাধগুলো সংঘটিত কম হবে।
ফতুল্লা থানাধীন সেহাচর তক্কারমাঠ, লালখাঁ, ইয়াদ আলী মসজিদ সংলগ্ন শাহজাহান রোলিং মিলসসহ চন্দ্রাবাড়ী এলাকা রেল ষ্টেশন, উকিলবাড়ী মোড়, পিলকুনী পুলপার,আলীগঞ্জ রেল লাইন, কুতুবপুরের নূরবাগ কুসুম বাগ, চিতাশাল, নয়ামাটি, বউ বাজার,নন্দালালপুর রেল লাইন, শাহীবাজার,মাসদাইর বাজার,গুদারাঘাট,ইসদাইর রেললাইন,মাসদাইর ঘোষেরবাগ,পশ্চিম মাসদাইর বেকারীর মোড়সহ আশপাশ এলাকাগুলোতে এই কিশোর অপরাধীদের ছত্রছায়া দিয়ে রাখছে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী পৃষ্ঠপোষকতাকেও দায়ী করছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, অবস্থা এখন এমন জায়গায় চলে গেছে যে, কিশোর অপরাধী নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন জরুরি হয়ে পড়ছে।
তারা আরও বলছেন, আগামী প্রজন্মকে অপরাধমুক্ত রাখতে হলে কিশোর গ্যাংয়ের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। তা না হলে দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সমাজ ও পরিবারের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া কিশোর অপরাধীদের থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো উপায় নেই।
তবে তাদের দাবী,প্রতিটি পাড়া-মহল্লার সাধারন মানুষের কাছে আস্থার প্রতিক হিবেসে পুলিশের স্থানটি প্রথমে। কিন্তু বর্তমানে টহল পুলিশী ব্যবস্থা কম,থানায় ওপের হাউজ ডে বন্ধ, প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নামকা ওয়াস্তে পুলিশিং কমিটির নামে কার্যালয় তৈরী করে তা মাসের পর মাস বন্ধ রেখে কার্যক্রমহীনসহ নানাবিধ কারনেই বর্তমানে সমাজ ব্যবস্থাটি একেবারে চুর্নবিচুর্ন হয়ে পড়ছে। মাদক নির্মুলের পরিবর্তে মাদক স্পট থেকে পুলিশ ও সোর্সদের মাসোহারা আদায় করাটা যেন মাদক বিক্রেতাদেরকে মাদক বিক্রিতে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান হচ্ছে অভিমত স্থানীয়দের।
সম্প্রতি ইসদাইর রেললাইন এলাকায় মাদকের স্পট নিয়ে ২/৩টি হত্যাকোন্ডেরও ঘটনা ঘটেছে যার সর্ম্পকে সকলেই অবগত। ঠিক তেমনীভাবে পশ্চিম মাসদাইর ঘোষেরবাগ,বেকারীর মোড়,মাসদাইর বাজারসহ আশপাশ এলাকার কিশোরগ্যাংরা সজাগ থাকলে ঘুমন্ত রয়েছে থানা পুলিশ। সেই সুযোগে মাঝে মধ্যে দেশীয় অস্ত্রের মোহড়া দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়াচ্ছে উক্ত এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোরগ্যাং’র সদস্যরা।
সচেতন মহলের দাবী আগামী প্রজন্মকে অপরাধমুক্ত রাখতে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আগে সচেতন হতে হবে তারা সচেতন না হলে কোন দিন ও কিশোর অপরাধী সমাজ থেকে মুক্ত হবেনা। তারা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙ্গিয়ে দলের মিটিং মিছিলে গিয়ে অমুক ভাই তমুক ভাই বলে এলাকায় অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ধ কিংবা অন্য কিশোর অপরাধীর সঙ্গে তুচ্ছ বিরোধকে কেন্দ্র করেই ঘটাচ্ছে হত্যার মত জঘ্যনতম ভয়াবহ ঘটনা।