ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে রাজমিস্ত্রি ঠিকাদারের ঘরে প্রবেশ পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পা ভেঙ্গে দেয়া মজিবর রহমানের স্ত্রী মোসা.বিলকিস বেগম ফতুল্লা মডেল থানায় একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সুজনগং দেও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে মজিবর রহমানের স্ত্রী মোসাঃ বিলকিছ বেগম উল্লেখ করেন যে, বিবাদী সুজন অত্র এলাকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, অসাধু ও খারাপ প্রকৃতির লোকজন হয় বটে। উল্লেখিত বিবাদীরা অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ সহ ব্যবসায়ীদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া চাঁদা আদায় করিয়া বেড়ায়। আমার স্বামী মজিবর রহমান (৫৫), অত্র এলাকায় রাজমিস্ত্রি ঠিকাদার হিসাবে কাজ করিয়া আসিতেছে। সুজনগং আমার স্বামীর উক্ত কাজকে কেন্দ্র করিয়া বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া চাঁদা বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করিয়া আসিতেছে। তাহারা আগে পরে বহু টাকা চাঁদা বাবদ আমার স্বামীর কাছ হইতে আদায় করিয়াছে। সুজনগংদের চাঁদা না দেওয়ার জের ধরিয়া ২১ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে ৫টায় সুজনসহ উল্লেখিত ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা বিবাদী, ছুরি, চাকু, চাপাতি, লোহার ও হকিষ্টিক নিয়া বে-আইনী জনতাবছে দলবদ্ধ হইয়া আমাদের উপরোক্ত ঠিকানার বাসায় অনধীকার প্রবেশ করিয়া আমার স্বামী ঘুমে থাকাবস্থায় আমার স্বামীকে বেধরক মারপিট শুরু করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও গুরুত্বর জখম করে। মারধরে আমার স্বামী চিৎকার শুরু করিলে ১নং বিবাদী আমার আমার স্বামীর গলার উপর দাড়িয়ে শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। আমি বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীগণ। আমাকেও বেধরক মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও গুরকত্বর জখম করে। একপর্যায়ে ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা আমার স্বামীর অঙ্গ হানির লক্ষে আমার বাম পায়ে স্বজোরে বারি মারিয়া গুরত্বর হাড় ভাঙ্গা জখম করে। যাহার পরবর্তীতে এক্স-রে রিপোর্টে দেখা হাটুর হাড় তিন টুকরো হইয়া গিয়াছে। অতঃপর ১নং বিবাদীর নির্দেশে ২ হইতে ৪নং বিবাদীগন সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ বিবাদী আমার ওয়্যার ড্রপের ড্রয়ারে থাকা নগদ সাড়ে ২৫ হাজার টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়া যায়। আমাদের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগণ বলে যে, যদি এই বিষয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করিস তাহা হইলে তোদেরকে চিরতরে প্রাণে মারিয়া ফেলিব্যে মর্মে হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। অতঃপর আমার স্বামীকে আশেপাশের লোকজন আমার স্বামীকে খানপুর ৩০০ বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করিলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎশক আমার স্বামীকে ভর্তির পরামর্শ প্রদান করিলে আমার স্বামী বর্তমানে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।