ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের নারীসহ পাঁচ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকাল ৩ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া আপ্যায়ন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিপক্ষের এ হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন-মোসা: এমিলি (৪৫), মোঃ নুরুজ্জামান( ৬০), সাহিদা (৪০), সাদিয়া আক্তার (৩৫) , রতœা ( ৩৩) ও শিলা (২২)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যার বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মোসা: এমিলি (৪০) বাদী হয়ে রতন পিতা:মৃত নুরুল ইসলাম, মোঃ শামীম পিতা মৃত ইব্রাহিম খান, মোঃ ইউনুস পিতা মৃত মহিউদ্দিন খান, আবুল কালাম, রোমি, পিতা: আবুল কালাম, মোঃ রবিন, মিলন, মিস্ত্রি কাদির, পিতা:- আব্দুল লতিফ, নুরজাহান বেগম স্বপ্না, পিতা: মৃত নুরুল ইসলাম, ডেইজি বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ে করেন তিনি।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দেলপাড়া এলাকার এমিলির পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী রতনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠকও বসে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এরই জেরে রতন ও শামীম তার লোকজন নিয়ে এমিলি ও তার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় মারধর ও কুপিয়ে জখম করা হয় একই পরিবারের পাঁচ জনকে। এ সময় আমার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, সাহিদার গলায় থাকা ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, শিলার গলার চেইন এবং ৫টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামীমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার জামানের কাছে জোরপূর্বক জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়টি নিয়ে আমি দু’পক্ষের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু তারা কেউ আমার কথা শোনেনি। পরবর্তীতে তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।