ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লা ধর্মগঞ্জের বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম আবদুল হালিম হত্যার সুষ্ঠু বিচার, ঘটনার সাথে জড়িত এইচ এম মাসুদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
১লা মার্চ বাদ যোহর ফতুল্লা ধর্মগঞ্জের পাকাপুল জাগরণী ক্রীড়াচক্র ক্লাবের সামনে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসি।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম আবদুল হালিম একজন সামাজিক, দানশীল ও সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন, এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডে তার অসামান্য অবদান রয়েছে, তারই কুলাঙ্গার সšন্তান এইচ এম মাসুদ হাসানের হাতে নিজ বাড়িতে তিনি নির্মম ভাবে নিহত হয়েছেন, প্রশাসনের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারভোগের পর চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসে মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা এই কুলাঙ্গারকে এলাকায় দেখতে চাই না, এই খুনি যেন এলাকায় ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, কারন যে তার জন্মদাতা পিতাকে হত্যা করতে পারে সে জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট, আমরা মহামান্য আদালতের কাছে এই খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী খান জুম্মাহ, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন মল্লিক, জেলা ইসলামী আন্দোলন আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, মাষ্টার বাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান, শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি জাগরণী ক্রীড়াচক্র ক্লাবে থেকে চটলার মাঠে এসে শেষ।
উল্লেখ্য গত ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১০ টায় বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ হালিম ধর্মগঞ্জ মাওলা বাজার নিজ বাড়িতে ছেলের এইচ এম মাসুদের হাতে নিহত হন।
এ ঘটনায় তার মেয়ের জামাই জাহের আলী বাদী হয়ে এইচ এম মাসুদকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলার ২ নং আসামী এইচ এম মাসুদের সহযোগী অটো চালক ররুবেলকে ঢাকা যাত্রাবাড়ি থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। রুবেল আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যা কান্ডের বর্ননা দিয়ে স্কীরারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর র্যাব ঢাকা মগবাজার থেকে এইচ এম মাসুদকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেন।