স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির প্রতিটি সভা সমাবেশে কেন্দ্রিয় নেতারা আওয়ামীলীগের দোসরদের দলে ভিড়াতে নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও সাড়া দেশে বিএনপি ও অন্যান্য দলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা যে কোন কিছুর বিনিময়ে হলেও দলে ভেড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিংবা খোলস পাল্টিয়ে নতুন রপে আত্মপ্রকাশ করছেন। আর এই অনুপ্রবেশকারীদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিএনপিতে স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ জায়গা করে দিচ্ছেন।
এমনই অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার কুতুবপুর ইউনিয়ণ ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, আওয়ামীলীগের দোসর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রিয়াদ, রাফেল ও শুভর সহযোগি শিবু মার্কেট এলাকার আহম্মদকে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিএনপি হাইব্রিড নেতা বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সহ নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বাসায় নিয়ে ছবি তুলে দেওয়াসহ বিএনপির নেতা বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই হাইব্রিড নেতা বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগের দোসর আহম্মদ বিএনপি নেতাদের সাথে তুলা ছবি সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে ভাইরাল হওয়াতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে।এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৭ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিএনপির হাইব্রিড নেতা বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাহব উদ্দিন সি এন জি পাম্প বন্ধ করে দেয়। ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পরে মালিক পক্ষ মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ও মাসিক একটা মাসোহারার মাধম্যে পুনরায় পাম্পটি চালু করে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির ঘটনায় জেলার প্রতিটি পাড়ামহল্লায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে দেয়ালে পোষ্টার লাগানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, বিগত আন্দোলন সংগ্রামে জাহাঙ্গীর দলের সাথে বেইমানি করেছিল আওয়ামীলীগের দোসরদের সাথে আতাত করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছিলে। এদের দলে রাখলে ভবিষ্যতে এর জন্য কঠিন মাশুল গুনতে হবে। এসকল নেতারা শুধু দলের সাথে বেইমানি করেনি, বরং আওয়ামী লীগের সাথে মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ ধরনের বেইমানদের দলে যায়গা দেয়া দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে বেইমানির শামিল। তাই এখনি এ ধরনের বেইমানদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সামনে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।