ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লায় বিভিন্ন দাবিসহ কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ফারিহা গ্রুপের সেনসিবল ফ্যাশনের শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিলসহ সড়ক অবরোধ করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ফতুল্লার পুলিশ লাইনের গেটের সামনে শ্রমিকরা এই সড়ক অবরোধ করে রাখেন। বর্তমানে তারা সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছেন। শ্রমিকদের অবরোধের কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, ফতুল্লার টাগারপাড় এলাকায় অবস্থিত ফারিহা গ্রুপের সেনসিবল ফ্যাশনে কয়েকশত শ্রমিক রয়েছেন। মালিকপক্ষের লোকজন কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই করে। আর শ্রমিক ছাঁটাই করলেও শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয় না।
বিনা কারণে শ্রমিকদের সঙ্গে স্টাফরা খারাপ আচরণ করেন। এমনকি কারখানার ভেতরে ক্যান্টিন না থাকলেও কাউকে নাস্তা খাওয়ার জন্য বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না।
তারা আরো বলেন, সকাল ৮টার এক মিনিট পর কারখানার ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। রাস্তায় যানজট থাকলেও দুপুরে ২টার এক মিনিট পর গেটের সামনে হাজির হলেও ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
কোনো কারণ ছাড়া এবং শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার বিষয় কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে হঠাৎ করে কারখানা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। মালিকের কঠিন এবং মনগড়া নিয়ম বাতিল করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক রাজীব ঘোষ বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই তাদের এই অসন্তোষ। এর আগেও কয়েকবার এই অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট পর্যায়ের ঝামেলা রয়েছে।
পাওনাদি পরিশোধ করে কিছু শ্রমিক ছাটাই করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা।’
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সেনসিবল ফ্যাশনের শ্রমিকদের কোনো ধরনের বকেয়া না থাকা সত্যেও তারা রাস্তায় এসে সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং বিক্ষোভ করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে মালিকপক্ষের আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মালিকপক্ষ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী লোকজন সঙ্গে নিয়ে সমস্যার সমাধান করে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’