ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লার কুতুবপুরে নতুন আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে ইমরান ও লিমন বাহিনী। এই দুই সহোদয়ের বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে কুতুবপুরবাসী। দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ছিনতাই এবং মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। এসবের নিয়ন্ত্রণ করছেন ইমরান ও লিমনের ভাতিজা কিশোর গ্যাং লিডার নাঈম এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
সম্প্রতি গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় মুখোশ, ধারালো অস্ত্র ও রশিসহ ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে ফতুল্লা দাপাইদ্রাকপুরস্থ এস,বি ফিলিং স্টেশনের পিছনে পদ্মা সেতু রেললাইনের ওভার পাস ব্রিজের ৮৯ নং পিলারের পূর্ব পার্শ্বের কাঁচা রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
আটককৃত সকলেই ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দানকারী ইমরান ও লিমনের ভাতিজা নাঈম গ্রুপের সদস্য বলে জানায় পুলিশ।
আটককৃতরা হলো ফতুল্লা পাগলা (মেলেটারির বাড়াীর ভারাটিয়া) শানু হাওলাদারের ছেলে জনি(২২),পাগলা পূর্ব পাড়ার মোজাফ্ফরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া শাহ আলমের ছেলে মো. আল মামুন(২৭), পাগলা বৈরাগি বাড়ীর কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. মিন্টু(২২), পাগলা মুসলিম পাড়ার মহর আলীর ছেলে মো. মোমেন(১৯) ও বৌ বাজারের মুখলেছের ছেলে মো. রাজিব(১৯)।
এ বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম নারায়নগঞ্জ জেলা শাখা বাদী হয়ে শুক্রবার ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, লিমন-ইমরান নিজের কখনো ছাত্রলীগ, কখনো যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকশ উঠতি বয়সের যুবকদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায়। নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
লিমন-ইমরান অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায়র পরিচালনা করছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এই বাহিনীর সদস্যদের কাছে কুতুবপুরের শাহী বাজার, বৌবাজার,রসুলপুর, আমতলা,পাগলা রেললাইন, নুর বাগেরমকয়েক হাজার মানুষ জিম্মী হয়ে পরেছে।
এই বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সাংসদ শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী মহল।
স্থানীয়রা জানায়, দুই ভাই ইমরান ও লিমনের ভাতিজা নাঈমের বিরুদ্ধে একাধিক ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ মামলা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। এতে করে কুতুবপুরের সাধারণ মানুষ তাদের এই বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়ছে। তারা প্রতিনিয়ত ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ফিটিং বাণিজ্যসহ একাধিক অপরাধ করে চলছে।
এই বাহিনী প্রায় সময়ই কুতুবপুর বৌবাজার, শাহী বাজার,রসুলপুর, আমতলা এলাকায় কিশোর অপরাধীদের নিয়ে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে থাকে।
এসব এলাকার অপরাধের জগৎ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাদের এমন মহড়া নিয়মিত রুটিনে পরিনত হয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের।
এলাকাবাসী জানায়, লিমন, ইমরান, নাঈম বিশাল বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কয়েকশ কিশোর অপরাধী। এসব সন্ত্রাসীদের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পরেছে। উঠতি সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এমনকি থানায় অভিযোগ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ফলে অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েও মুখ বুঝে সহ্য করে আসছে।
এলাকার অপর একটি সূত্র জানায়, শুধু অয়ন ওসমানের নাম ব্যবহার করে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই বাহিনী।