ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লার ডিআইটি মাঠে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কার্যালয় রাতের আধারে কে বা কারা হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাট করেছে। সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টায় এ তান্ডবলীলা চালানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মো.দেলোয়ার হোসেন দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, আমি রাত্র প্রায় ১টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকার দরুন তাকে দেখতে আমি হাসপাতালে চলে যাই। সকালে শুনতে পাই যে আমার অফিসটি ভেঙ্গে সেখানে থাকা সবকিছু নিয়ে চলে গেছে। তিনি জানান, স্থানীয় একজন নেতার ইন্ধনেই আমার অফিসে হামলা-ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান,আমার এ অফিসে অত্র এলাকার সকল শ্রেনীর মানুষের যাতায়াত ছিলো। রাতের আধারে দুস্কৃতিকারীরা অফিসটিকে ভেঙ্গে এখানে থাকা ৬টি ফ্যান,একটি টেলিভিশন,৫০টি চেয়ার,সোফা ২সেট এবং লাইব্রেরীতে থাকা বইগুলো পর্যন্ত নিয়ে যায় এবং অফিসের সুরক্ষার জন্য তিনটি কলাপসিবল গেটগুলোও তারা খুলে নিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আমার অফিসের সামনে থাকা একটি মোবাইল দোকান থেকেও প্রায় ৩১টি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন,৫ আগষ্টের পর থেকে অত্র ফতুল্লা এলাকায় কার নেতৃত্বে এ সকল অপরাধযজ্ঞ চলছে তা পুরো ফতুল্লাবাসী জানেন। এক স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর যদি আবারও কোন স্বৈরাচারের আগমন হয় তাহলে দেশের সাধারন মানুষের জন্য তা কল্যানকর হবেনা। তিনি বলেন,আমরাও চাই যে আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসুক কিন্তু ক্ষমতায় আসার আগেই বিএনপির কতিপয় নেতার া যা শুরু করেছে তা হয়তো তাদের শুভকর নাওহতে পারে। বিগত হাসিনা সরকার আমাদের দলকে গৃহপালিত দল হিসেবে রেখেছিলো অনেক চাপের মুখে ফেলে। এ জন্য আমার নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসাইন মো.এরশাদ এবং তার ছোটভাই জিএম কাদের সাহেবকেও চাপে রেখে তাদেও সাথে থাকতে বাধ্য করিয়েছে।
তার কার্যালয়টি ভাংচুর এবং লুটপাট বিষয়ে তিনি বলেন,শুধু আমি নই পুরো ফতুল্লাবাসীই বলতে পারবেন যে কার দ্বারা এ সকল ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হতে পারে। এ নেতা রাতের আধারে সাধারন মানুষের বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজ করাচ্ছেন আর দিনের আলোতে এ পরিদর্শন করছেন এবং মুঠোফোনের মাধ্যমে ফতুল্লার অনেক মানুষকে হুমকী প্রদান করছেন। আমি চাই ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তার সুনিপুন দক্ষতার মাধ্যমে ফতুল্লার এ অপরাধীকে খুজে বের করুন।
আমার জাতীয় পার্টির কার্যালয়টি ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়টি আমার কেন্দ্র অবগত করেছি। আমি জেলা পুলিশ সুপার,র্যাব-১১ এবং সেনাবাহিনীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করবো এবং দ্রুত এ অপরাধীকে খুজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য তাদেরকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।