ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলীতে ছোট ভাই-বোনকে সম্পত্তি সহ ব্যবসার টাকা থেকে বঞ্চিত করে আত্মসাতের অপচেষ্টার ঘটনায় প্রতারক বড় ভাই মাসুদ এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পরও নিজের হিশ্যা বুঝে পেতে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করছে শরীফ হোসেন।
অপর দিকে স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের কুপরামর্শে মাসুদ তার পিতার সম্পদ সহ ব্যবসার টাকা একাই গ্রাস করতে ছোট ভাই শরীফ ও ছোট বোন মুসলিমা আক্তার মেরীকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে আসছে।
এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শরীফ সহ তার পরিবারের সদস্য এবং ছোট বোন মেরী। এমনকি পিতার সকল সম্পদ সহ ব্যবসার টাকা আত্মসাত করতে নানা ভাবে তালবাহানা করছে মাসুদ সহ তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।
শুধু তাই নয় প্রতারক মাসুদ নীচতলার ৩ টি রুমের মধ্যে ২ টি রুম,দ্বিতীয় তলা পুরোটা দখল করে রেখেছে মাসুদ। একটি কক্ষে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চরম অমানবিক ভাবে জীবন যাপন করছে শরীফ।
এদিকে শরীফ অভিযোগ করেন তার পিতার মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সিন্ধুকের তালা খুলে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। অথচ পিতার রেখে যাওয়া টাকার ভাগ সকল ওয়ারিশরা সমান ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও ছোট ভাই বোনকে বঞ্চিত করে বড় ভাই মাসুদ একাই গ্রাস করার অপচেষ্টা করছে।
শরীফের দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের রামনগর এলাকার হাফেজ আব্দুল হামিদ মিয়ার ২ ছেলে মাসুদ, শরীফ এক মেয়ে মুসলিমা আক্তার মেরীকে রেখে গত ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট মৃত্যু বরণ করেন।
আব্দুল হামিদ মিয়া মৃত্যুরকালে ২ টি ইট ভাটা সহ নগদ টাকা পয়সা ও সম্পদ রেখে যায়। ইট ভাটার একটা ৫০% এবং আরেকটা ২৯% শেয়ার রয়েছে। হামিদ মিয়ার ইটভাটার ব্যবসার লাভের টাকা একাই ভোগ করছে বড় ছেলে মাসুদ। ব্যবসার লাভের টাকার ভাগ থেকে ছোট ছেলে শরীফ ও মেয়ে মেরীকে বঞ্চিত করে রেখেছে।
পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ হিসাবে সকল সন্তানরা সমান ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও মাসুদ একাই নগদ টাকা সহ কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাত করার পায়তারা চালাচ্ছে। পরে শরীফ তার বড় ভাই মাসুদের কাছে ব্যবসার আয়ের অংশ সহ সকল পাওনা সমান বন্টনের কথা বলার পর হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। এমনকি ব্যবসার লাভের অংশ দাবি করলে শরীফের শিশু সন্তান সহ গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এর এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে এসেছি। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে মাসুদের মুঠোফোন ০১৭২৬৯৪১৯@@ নাম্বারে একাধিক বার ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।