ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সহ তার সহযোগীতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বক্তাবলীর গঙ্গানগর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তার সহযোগী বিষু মিয়ার পুত্র সালাউদ্দিন ও আনোয়ার আলীর পুত্র পিয়ার আলির মাধ্যমে সাধারন লোকসহ বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়ে অবৈধ সুবিধা আদায় করতেন।
এমন কি জাহাঙ্গীর হোসেন, সালাউদ্দিন ও পিয়ার আলীর ভয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এলাকায় বসবাস করতে পারতো না।
যারা বসবাস করতো জাহাঙ্গীর হোসেন, সালাউদ্দিন ও পিয়ার আলীকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এলাকায় থাকতে হতো।
জানা যায়, জাহাঙ্গীর হোসেন জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন এবং আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনে মেম্বার করার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন। এমনকি আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের ঘুষখোর কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তার পছন্দের প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে জোরপূর্বক বিজয়ী করে আনতেন।
বক্তাবলী ইউনিয়ন ও আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান কয়েকজন মেম্বার রয়েছে যারা জাহাঙ্গীর নেতাকে টাকা দিয়ে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সেই সব মেম্বারদের নাম প্রকাশ করা হবে।
জাহাঙ্গীর নেতা ঢাকায় বসবাস করলেও গঙ্গানগরের আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন ও পিয়ার আলীর মাধ্যমে বিএনপি নেতা কর্মীসহ সাধারন মানুষকে হয়রানি করে বেড়াতো। এমনকি অনেকের জমি জমা দখলে ব্যস্ত থাকতো।
গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতার অভ্যুত্থানের চাপে পড়ে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায়।
সেই সাথে জাহাঙ্গীর হোসেন বক্তাবলী হতে পালিয়ে যায়। সালাউদ্দিন ও পিয়ার আলী কয়েকদিন ঘা টাকা দেন পরে এলাকায় এসে বিএনপি’র সুবিধাবাদী লোকদের ম্যানেজ করে এলাকায় থাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাব দেখিযয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন জেলা পরিষদের সামনে ৭ তালা ভবন নির্মাণ করেছেন।
যিনি ব্যবসা বাণিজ্য কিছু না করেও কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার রহস্য উৎঘাটনে দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাহাঙ্গীর হোসেন, সালাউদ্দিন ও পিয়ার আলীর নেতৃত্বে গঙ্গানগর থেকে ৫০/৬০ সন্ত্রাসী গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এমনকি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া করার অভিযোগ রয়েছে।
উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইন করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহল।