ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লা মডেল থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বক্তাবলীর চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু নজরুল,রাসেল,খায়ের,হালিম গংরা।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উক্তেজনা বিরাজ করছে।
সচেতন এলাকাবাসী এই সকল ঘৃনিত অপরাধীদের বিররুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য ডিসি ও এসপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলাকাবাসী,বিএনপির নেতাকর্মী ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রশিদ আহম্মেদ সুত্রে জানা যায়,৫ ই আগস্ট ছাত্রজনতার অন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী পলাতক জীবনযাপন শুরু করলে পরিষদের নাগরিক সেবা কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে।
পরে সরকার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে প্রশাসক নিয়োগ দিলেও তিনি ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে পারেননি।
ইউএনও ১২ জন মেম্বারকে ডেকে যে যোগ্য তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার নির্দেশ দেন।
এক্ষেত্রে ১২ জন মেম্বার বসে রশিদ আহমেদকে এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। আইনগতভাবে জেলা প্রশাসক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আব্দুর রশিদ আহম্মেদ নিয়োগ দেওয়ার খবর পেয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
অবৈধ সুবিধা পেতে বিএনপির নামধারী নেতা চাঁদাবাজ, দূর্বৃত্ত ও ভূমিদস্য নজরুল ইসলাম প্রধান, আবুল খায়ের, রাসেল প্রধান,হালিম আজাদ, সহ ৫০/৬০ জন মাদক বিক্রেতা বিরোধিতা করতে থাকে।
৯৫ থেকে ৯৮ পার্সেন্ট লোক রশিদ মেম্বারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ করায় তারা খুশি হন। কেননা ট্রেড লাইসেন্স, মৃত্যু সনদ, জন্ম সনদ, নাগরিক সনদপত্র, ওয়ারিশ সনদপত্র সহ বিভিন্ন কাজের জন্য তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। রশিদ মেম্বার গত ২৩ মার্চ দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে প্রতিদিনের সেবা প্রতিদিন দিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী খুশি হয়েছেন।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় স্টাফরা খুলতে গেলে নজরুল ইসলাম প্রধান, হালিম আজাদ, আবুল খায়ের, রাসেল প্রধান, রাহাদ প্রধান পরিষদের তালা খুলতে বাঁধা প্রদান করে তাদের হুমকি – ধামকি দিয়ে পরিষদ সংলগ্ন এলাকা হতে তাড়িয়ে দেয়।
৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সলিম প্রধান,সাধারণ সম্পাদক মীর আলমগীর, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সিরাজ মিয়া, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফকির, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইদ্রিস আলী প্রধান সহ বিএনপি নেতা কর্মীরা ও এলাকাবাসী জানান,রশিদ মেম্বার বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন ও আছেন। তিনি যখন মেম্বার নির্বাচিত তখন আওয়ামী সরকার ক্ষমতায়। একমাত্র বিএনপির মেম্বার ছিলেন রশিদ আহম্মেদ। সবাই আওয়ামী লীগের মেম্বার। এলাকাবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে রশিদ মেম্বারকে আওয়ামী লীগের এমপি ও চেয়ারম্যানের কাছে যেতে হয়েছে এবং এলাকায় এমপি আসলে গেট নির্মান করে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে হয়েছে। এর মানে এই নয় তিনি আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন। তিনি বিএনপিতে আছেন ও থাকবেন। আমরা রশিদ আহম্মেদ কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে পেয়ে ভীষন খুশি।
তারা আরো বলেন,এ বিষয় নিয়ে নজরুল ইসলাম প্রধান, হালিম আজাদ,আবুল খায়ের,রাসেল প্রধানরা ধান্দাবাজির উদ্যোশ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করিতেছে। আইন অমান্য করে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাঁধা প্রদান করে রাষ্ট্র বিরোধী কাজে জড়িত। এ সকল ধান্দাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে ডিসি ও এসপির নিকট জোর দাবী জানান বিএনপির নেতাকর্মী সহ সচেতন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম প্রধানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭৭৮৬৭১১@@ ) একাধিকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
রাসেল প্রধান বলেন, রশিদ মেম্বার কখনও বিএনপির করেছে এমন প্রমানপত্র দেখাতে পারলে আমরা আমাদের আন্দোলনের পথ থেকে সরে দাড়াবো। তিনি বিগত ১৫ বছরে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেননা। বরং এম.শওকত আলী ও বাদল চেয়ারম্যানের সাথে আতাত করে চলেছেন। তিনি আরও বলেন,ইউপিতে ১২ জন মেম্বার রয়েছেন যারা সবাই আওয়ামীলীগের। তাদের মাঝে ৭ জন মেম্বার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় স্বাক্ষর করেছেন যা নিয়ে ২/১ দিনের মধ্যে ডিসি মহোদয়ের কাছে জমা দিবো।
হালিম আজাদ এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৮২২৮৩৮৯@@ ) একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
আবুল খায়ের বলেন, তিনি বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে চলেছেন। সে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী। ৫ তালিখের পর তিনি ফেরীসহ বিভিন্ন স্থাপনা দখল করে নেন এমনকি তার বাড়ির সামনেও ইন্টারনেটের ব্যবসাগুলো দখল করে নেন। এখন বলেন,তার মত দখলবাজ চেয়ারম্যান হলে এর পরিনতি কতটা ভাল হবে তা বলা মুশকিল। তাই সব কিছু বিবেচনা করেই রশিদকে চেয়ারম্যান হিসেবে মানিনা।
এ বিষয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মো.হাসান আলী বলেন,রশিদ মেম্বার আগে থেকেই বিএনপির রাজনীতি করে। সে চেয়ারম্যান হওয়া আমরা খুশি এবং পুরো ইউনিয়ন বাসী এখন নাগরিক সুবিধা পাবে।