ফলোআপ
ষ্টাফ রিপোর্টার
শনিবার জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমসহ স্থানীয় কিছু পত্রিকায় “কুতুবপুরে বিএনপি নেতা টিটুর ভাই তপন ও সহযোগি কাজলের শেল্টারে চলছে মাদকের হাট!”শীর্ষক সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পুরো কুতুবপুর জুড়েই টক অব দ্যা নিউজে পরিনত হয় সে সঙ্গে অত্র প্রতিবেদককে মুঠোফোনে একাধিক মানুষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এটা একটি যুগোপযোগি সংবাদ। তারা বলেন,৫ আগষ্টের পর হতে পুরো কুতুবপুর জুড়েই প্রকাশ্যে চলছে মাদকের হাট। বিগত সময়ে মাদকের প্রবনতা কম থাকলেও ৫ আগষ্টের পর পুলিশী তৎপরতা কম থাকার ফলে এ সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে স্থানীয় বিএনপির নামধারী ও অর্থলোভী নেতারা। ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর ছোট ভাই মোঃ মজিবর রহমান তপন ও তার সহযোগী আমিনুল ইসলাম কাজল ওরফে চৌরা কাজলগংরা পুরো ইউনিয়নকে মাদকের আখড়ায় রুপান্তরিত করে তুলেছেন। কেউ প্রতিবাদ করতে বিন্দুমাত্র সাহস পাচ্ছেনা। শুধু মাদক নয় বিভিন্ন মানুষের উপর নির্যাতন এমনটি আত্মীয়তার সুত্রে আওয়ামী দোসরদেরকেও লালন-পালন করছেন তারা। তারা বলেন, তপনের আপন ভায়রা হলেন স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অন্যতম দোসর সাদ্দাম। যিনি বিগত সময়ে যুবলীগের রাজনীতি করতো এবং এলাকাজুড়েই চালাতো অপরাধ। এছাড়াও আওয়ামী দোসর সোহেল,লিটন ও কালুসহ একাধিক যুবলীগের দোসরদেরকে নিরাপত্তার সাথেই এলাকাতে বসবাসের সুযোগ তৈরী করে দিয়েছেন তপন।
তারা আরও বলেন,অত্র এলাকাতে প্রচুর সংবাদকর্মী থাকলেও তাদের ছায়াতলে থেকে সত্যকে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারছেনা কি কারনে তা জানেন না। ভাই ও তার সাঙ্গপাঙ্গরাই নয় ৫ আগষ্টের পর শহিদুল ইসলাম টিটুও ব্যাপক অর্থের মালিক বনে গেছেন এটা সত্য। বর্তমানে তিনি প্রায় ৮০ লাখ টাকা মুল্যের গাড়িতে চড়েন এবং জনৈক ব্যক্তির প্রায় ৪ কোটি টাকা মুল্যের বাড়িও নাকি টিটু জবর-দখলের পায়তারা করছেন। গত ৮ মাসে টিটু এবং তার ভাই তপন-স্বপনসহ সাঙ্গপাঙ্গরা কি পরিমান টাকার মালিক বনে গেছেন তা বলাবাহুল্য। রাজনীতির অন্তরালে ব্যাপক অনিয়ম-জবর-দখল, মাদকের পৃষ্টপোষকতা এবং অপরাধের সা¤্রাজ্যের মাধ্যমেই নাকি রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন টিটু ও তার পরিবারের সদস্যরা। দুদক যদি ভালভাবে অনুসন্ধান করে তাহলে তাদের হঠাৎ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার মুল তথ্যগুলো উদঘাটন করতে পারবে।
গতকালের সংবাদটি হুবুহু পাঠকের সুবিধার জন্য আবারো দেয়া হলোঃ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের পুরো এলাকা জুড়ে চলছে মাদক ব্যবসা, মেলার নামে জুয়ার আসর সহ নানান অপকর্ম।
আর এ নেতৃত্বে রয়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর ছোট ভাই মোঃ মজিবর রহমান তপন ও তার সহযোগী আমিনুল ইসলাম কাজল ওরফে চৌরা কাজল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর যেন ভাগ্য খুলে যায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর ছোট ভাই মজিবর রহমান তপন ও তার সহযোগী একসময়ের আওয়ামী লীগের দোসর কাজল ওরফে চৌরা কাজল।
তপন ও কাজলের নেতৃত্বে পাগলা সহ পুরো কুতুবপুর ইউনিয়নে জুড়ে চলছে মাদক ব্যবসা, মেলার নামে জুয়ার আসর, বিভিন্ন অটো মিশুক হতে চাঁদা আদায়, জমিজমা ক্রয় বিক্রয় করতে চাঁদা আদায় সহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও টিটু-তপনের আরেক ভাই স্বপনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বর্তমানে অলি হাজীর ইটভাটাতে তাদের সহযোগি আসাদ ও জয়ের হেরোইন স্পটটি পুরোটাই উন্মুক্ত। আবার পাগলার চিহিৃত মাদক স¤্রাজ্ঞী পিংকির বাড়িতে মাদকের হাট এবং জমজমাট দেহব্যবসা চালাচ্ছেন টিটু-তপনের ভাতিজা রাজু। স্থানীয়দের মতে,এক কথায় পুরো পাগলার কুতুবপুর জুড়েই মাদক বিক্রির অলিখিত অনুমতিও নাকি দিচ্ছেন তারা।
এছাড়া ধারণা তপনের বড় ভাই ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সভাপতি হওয়ায় প্রশাসনের সাথে রয়েছে তার সুসম্পর্ক।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তপন তার সহযোগী চৌরা কাজলকে নিয়ে একটি বিশাল সিন্ডিকেট গঠন করে এলাকাভিত্তিক মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এতে করে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে গেলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা না নেওয়ায় যেন কপাল খুলে গেছে মাদক বিক্রেতাদের।
অপরদিকে মেলার নামে বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছে তপন ও চৌরা কাজলের নেতৃত্বে এলাকা ভিত্তিক মাদক বিক্রেতারা।
সম্প্রতি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেলার নামে জুয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগে কুতুবপুরে একটি মেলা উচ্ছেদ করেন।
এলাকাবাসীর দাবী ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর প্রভাবে তার ছোট ভাই তপনের নেতৃত্বে পুরো কুতুবপুর জুড়ে মাদক ব্যবসা,মেলার নামে জুয়ার আসর সহ নানান অপকর্ম চললেও তিনি নীরব ভূমিকা পালন করে আসছেন। এতে করে বিএনপির জনপ্রিয়তা একে বারে কমে আসছে। যা আগামী জাতীয় সংসদ, ইউপি নির্বাচন সহ অন্যান্য নির্বাচনে ব্যপকহারে প্রভাব পড়বে।
এ ব্যাপারে কাজল মুঠোফোনে জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪.কমকে বলেন,আমি ২০০৭ সালে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৯ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। পাগলা বাজার ও দাপা এলাকার আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগের লোকজন বিশেষ করে পলাশের লোকজন বন্ধ করে দেয়। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ৪/৫ আক্রান্তের শিকার হই। আমিও তপন মাদক ব্যবসা করি এমন ক্লেইম পান জনগন ও আপনারা যে শাস্তি দিবেন মাথা পেতে নিবো। আমারও বড় বড় সাংবাদিকদের সাথে পরিচয় আছে। এলাকায় এসে চা খেয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর ভাই মোঃ মজিবর রহমান তপনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৯০২৩২২২@@) বলেন,ভাই আপনাকে ধন্যবাদ আপনি আমাকে ফোন দিয়েছেন। আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,পুরো কুতুবপুরে খোজ নিন আমি কোন মাদক কিংবা অপরাধীকে শেল্টার দেই কিনা এমনকি কেউ বলতেও পারবেনা যে আমি মাদক খাই। যারা আপনাকে এ তথ্য দিয়েছে তাদেরকে বলেন যে,আল্লাহর ঘর মসজিদে গিয়ে এ কথাগুলো বলতে। যদি কোন অপরাধের সাথে আমার সংযুক্তি পায় তাহলে আমি এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবো। তাছাড়া আমি কে বা আমার পরিবারের সদস্যরা কেমন তা সবাই বলতে পারবে। কোন অপরাধের সাথে আমার পরিবারের কেউ সর্ম্পৃক্ত নেই।