ষ্টাফ রির্পোটার:
উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে ফতুল্লার ভূইগড় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু সারোয়ার গং কর্তৃক অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মানের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জমির প্রকৃত মালিক মোঃ আক্তার হোসেন ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সবধরনের নির্মান কাজ বন্ধ রেখে উভয় পক্ষ কে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার নির্দেশ দিয়েছেন।
জমির জমির মালিক আক্তার হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,ভূমিদস্যু ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সারোয়ার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ডিবি পুলিশ, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন মহলের নাম ব্যবহার করে নিরীহ লোকদের জমি জোরপূর্বক দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে থাকে।
কেউ বাধা দিলে তাকে মিথ্যা মামলা সহ নানান ভাবে হয়রানি করে থাকে।
এ ব্যাপারে আক্তার হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিবাদী মোঃ সারোয়ার আলম, পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ভূইগড় রুপায়ন হাউজিং, ভূইগড়, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ রহিমা বেগম . স্বামী মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ হানিফ মিয়া, পিতা- অজ্ঞাত, উভয় সাং- ফ্লাট নং- ৫/সি দেল সাহারা, ২৭ কে.এম সাস লেন, পোঃ ঢাকা সদর, থানা- সূত্রাপুর, জেলা- ঢাকা, ইয়াসমিন আক্তার, স্বামী- মোঃ শাহজাহান সিরাজ, মোঃ শাহজাহান সিরাজ, পিতা- অজ্ঞাত, উভয় সাং- ১১৪/১ দক্ষিন নয়াটোলা, পোঃ- শান্তিনগর, খানা- রমনা, জেলা- ঢাকা, সাবিনা ইয়াসমিন, পিতা- অহিদউল্লা সরকার, সাং- উত্তর ভূইগড়, পোঃ পশ্চিম ভূইগড়, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ ঘয়ের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে- নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে এবং দলিল মূলে খরিদ সূত্রে মালিক ও ভোগদখলকার নিয়ত আছি। গত ৩ মাস পূর্বে ১নং হইতে ৬নং বিবাদী জোর পূর্বক আমার নিজ নামিও জমি ভোগদখলের পায়তারা করিয়া আসিতেছে এবং বেশ কয়েকবার আমাকে অজ্ঞাতনামা বিবাদীদ্বয়কে দিয়ে প্রান নাশের হুমকি ধামকি প্রদান করতঃ। এরই ধারাবাহিকতায় উপরোক্ত ১নং হইতে ৬নং বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মহামান্য হাই কোর্টে, একটি মামলা চলমান রহিয়াছে যাহার স্ট্রে অর্ডার নং-৩৩৯৯/২৪।
স্ট্রে অর্ডার থাকা সত্ত্বেও বিগত ২২/৯/২০২৪ইং তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় ১নং হইতে ৬নং বিবাদীগণ কর্তৃক স্থানীয় ও বাহিরের এলাকায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের, ভূমিদস্যু একদলভুক্ত হইয়া প্রত্যেকে হাতুরী, হামার, সাইজ করা রড, দা-বটি ইত্যাদি দেশিও অস্ত্র-শস্ত্র নিয়া আমার নিজ নামিও নালিশ্য ভূমিতে থাকা বাউন্ডারী ওয়াল ভাংচুর করিয়া নিজ নামীয় সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে। বিবাদীদের নিজ নামীয় সাইনবোর্ড স্থাপন করার অপচেষ্টা করিলে আমি বিবাদীদ্বয়কে বাধা প্রদান করিলে বিবাদীগন আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
আমি বিবাদীকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করিলে বিবাদীদ্বয় আমাকে মারতে উদ্যত হয়। পরবর্তীতে আমার ডাক-চিৎকারে আশে পাশের স্থানীয় লোকজন জড়ো হইলে বিবাদীদ্বয় দখল করিতে ব্যর্থ হইয়া চলিয়া যায় এবং যাওয়ার সময় এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, আজ না হয় কাল আমাকে নালিশা ভূমি হইতে যেকোনোভাবে বেদখল করিবে এবং বেদখল করিতে ব্যর্থ হইলে আমি সহ সাক্ষীদের কে ওম করিয়া খুন করিয়া পেট কেটে বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবিয়ে দিবে মর্মে লোকজনের সামনে হুমকি প্রদান করেন। আর যদি বিবাদীগন তাহা করিতে না পারে তাহলে সাক্ষী মোঃ গোলাম ফারুক রানা কে খুন করিবে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে। বিবাদীদ্বয়ের এহেন কার্যকলাপে আমি ও আমার পরিবারের লোকদের নিয়ে দারুন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি।
“তপছিল”জেলা সাবেক ঢাকা হালে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন ভূইঘর মৌজাস্থিত জেঃ এল নং- ১৪৮, এস.এ ৬ নং, আর.এস ১ নং খতিয়ান নং সি.এস ২২২ এস.এ ২৯৩, আর.এস ৬৪৩, দাগ। নং সি.এস ও এস.এ-৭৬, আর.এস-২৬১ নং দাগে ১০৫ শতাংশ ভূমির কাতে উত্তরদিকের ৫৩ শতাংশ নালিশা ভূমির কাতে সর্ব উত্তর দিকের ৩১.৫০ ভূমি নালিশা ভূমি। যাহার বর্তমান চৌহুদ্দী উত্তরে- ছায়েদ আলীর বিক্রীত ভূমি, দক্ষিণে চলাচলের পাকা রাস্তা, পূর্বে- সাবেক ১৪০ নং দাগের ভূমি, পশ্চিমে- আফছার উদ্দিন।
উপরোক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মোঃ আক্তার হোসেন।