ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর শেরে বাংলা লিংক রোড কাশেমনগর ( যা পতেঙ্গা মাঠ হিসেবে পরিচিত ) এলাকায় চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকদ্রব্য বিক্রিতে বাধা দেয়ায় কাজি মো.সেলিম নামে একজনকে অস্ত্র দিয়ে হাটুর নিচে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত.নজরুলের ছেলে মো.সাবুগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গুরুতর আহত সেলিম ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে মৃত.কাজি আবুল হাসেমের ছেলে কাজি মো.সেলিম উল্লেখ করেন যে, উল্লেখিত বিবাদীরা অত্র এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার। তারা এলাকাতে বিভিন্ন সময়ে চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকদ্রব্য বিক্রিসহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত। প্রতিনিয়ত তারা আমার এলাকার বাড়ির দারোয়ানদেরকে বিনা কারনে গালাগাল ও মারধর করে থাকে। মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর দুপুর ১২টায় মৃত.নজরুলের ছেলে মো.সাবু,মো.শরীফের ছেলে মো.তুষার, চাঁন মিয়ার ছেলে স্বপন @ লেংটাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বিবাদী অটোগাড়িতে থাকা যাত্রীর মোবাইল ফোন ছিনতাইকালে সে বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করলে উল্লেখিতরা আমাকে অকট্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকী-ধাকমী প্রদান করে চলে যায়। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় উল্লেখিত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র ছুড়ি,চাকু,চাপাতি নিয়ে এসে আমাকে এলোপাতারি কিলঘুষি, লাথি মেরে শরীরের বিভিন্নস্থানে লীলাফুলা জখম করে। এ সময় ৩নং বিবাদীর হাতে থাকা ছুড়ি দিয়ে আমার বাম পায়ে আঘাত করলে হাটুর নিচে রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনা আমার বড়ভাই কাজি জসিমউদ্দিন দেখতে পেয়ে আমাবে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাকে মারধর করে শরীরের লীলাফুলা ও রক্তাক্ত কাটা জখম করে। আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। আমাদের অবস্থা আশংকাজনক হলে পরিবারের সদস্যরা আমাদেরকে দ্রুত খানপুর ৩শ’শষ্যা হাসপাতালে নিয়ে সেখানে কর্মরত চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।