ষ্টাফ রিপোর্টার:
গলাচিপা এলাকা থেকে আসা প্রয়াত নজরুল ইসলামের ছেলে অপরাধ জগতের অন্যতম নক্ষত্র সাবু যেন মাসদাইর কাশেমনগর যা পতেঙ্গার মাঠ এলাকার প্রতিটি বাড়ির মালিক ও সেখানে বসবাসকারীদের কাছে আতংকের একটি নাম। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের আমলে সাবেক সাংসদ গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমানর ছেলে অয়ন ওসমানের সমন্ধি ভিকি ও তার চাচাতো ভাই নেছারের একান্ত সহযোদ্ধা পতেঙ্গা মাঠ এলাকার আতংক সাবু এখন যুবদল নেতা সহিদ ও অটোপার্টস ব্যবসায়ী নয়ণ খন্দকারের শেল্টারে পুর্বে চেয়ে আরও ভয়ংকর রুপ ধারন করেছে এমনটাই অভিযোগ সেখানে বাসবাসকারীদের।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে, অত্র এলাকাতে প্রতিটি বাড়ি ও জমির মালিকরা অনেকটাই জিম্মি হয়ে পড়েছেন সহিদ-নয়ন-সাবুর কাছে। বাড়ি নির্মান থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজেই সাবুগংদেরকে চাদাঁ দেয়াটা যেন বাধ্যতামুলক করে তুলেছে তারা। আর চাদাঁবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী সাবুর এ সকল অপকর্মের নাটেরগুরু হিসেবে রয়েছে আলআমিন মসজিদ সংলগ্ন অটোপার্টস এর দোকানের মালিক নয়ন খন্দকার। নিজেকে অন্তরালে রেখে সাবুকে দিয়েই যাবতীয় অপরাধ কাজ করাচ্ছে নয়ন খন্দকার। মাসদাইরের সাবেক এক কাউন্সিলরের সহযোদ্ধা যুবদল নেতা সহিদ সাবু-নয়নদের সাথে যুক্ত হয়ে ওদের অপরাধগুলোকে আরো বেগবান করে তুলেছে।
তারা এলাকাতে প্রতিটি মানুষের কাছেই যেন আতংকের একটি নাম সাবু। সব সময় এ সাবুর হাতে থাকে একটি সুইচ গিয়ার এবং তার সহযোগিদের কাছে থাকে দেশীয় তৈরী রাম দা,বগিসহ অন্যান্য অস্ত্র। পতেঙ্গা এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যেন মাদক স¤্রাট সেলিমের মাদকের হাট দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকা সাবুর কাছে থাকা অস্ত্র দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এমন সংখ্যা অনেকটা অগনিত। বাড়ি-ঘর নির্মান, জমি ক্রয়-বিক্রয়,ইট-বালু-সিমেন্ট নিতে গেলেও টাকা দিতে হয় এ সাবুকে। এমনকি উক্ত এলাকায় যিনি রাজমিত্রির কাজ করেন তার কাছ থেকেও টাকা নিতে দ্বিধাবোধ করেন না এ সাবু।
স্থানীয় আরো জানান ,গত কয়েকদিন আগে এ এলাকায় ছিনতাই কাজে বাধা দেয়ায় সেলিম নামে এক বাড়ির মালিককে সুইচ গিয়ার দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এ সাবু। সেই ঘটনায় কয়েকদিন পালিয়ে থাকলেও পুনরায় যুবদল নেতা সহিদের শেল্টারে আবারও এলাকায় প্রবেশ করে চালাচ্ছে অপরাধযজ্ঞ। মোটকথা সাবু বাহিনীকে চাদাঁ না দিলে পতেঙ্গা মাঠ এলাকার কোন প্রকার বাড়ি-ঘর নির্মান,লেবারদের কাজ করা এমনকি ভিক্ষা করতে আসা ভিক্ষুকও যেন ওদের চাদাঁবাজির বাহিরে নয়। সব মিলিয়ে স্থানীয় সবাইকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে সহিদ-নয়ন-সাবু বাহিনী।
বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে সাংসদ শামীম ওসমানের ছেলে ভিকি ও তার চাচাতো ভাই নেছারের পক্ষে থেকে অত্র এলাকাতে ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে এ সাবু। ভিকি ও নেছার পালালেও পালাতে হয়নি সাবুকে। কারনে সাবুকে বর্তমানে নেতৃত্ব দিচ্ছে নয়ন খন্দকার ও মাসদাইর এলাকার যুবদল নেতা সহিদ। এ দুইয়ের নেতৃত্বে সাবু পুর্বের চেয়েও আরো বেশী দূর্ধর্ষ হয়ে উঠেছে বলে জানান তারা। গত সপ্তাহে মাসদাইর রোকেয়া স্কুলের সামনে থেকে পুলিশ কর্তৃক আটক ৪ মাদক বিক্রেতাকে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে নিয়ে সাহায্যকারী এ সাবু এখন প্রকাশ্যে চলাচল করে সাধারন মানুষকে সুইচ গিয়ার দিয়ে ছুরিকাঘাত করে প্রতিদিনই টাকা ও মোবাইলসহ জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান, রিক্সা পার্টস ব্যবসায়ী নয়ন এবং যুবদল নেতা সহিদের শেল্টারে সাবু পতেঙ্গা এলাকায় বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের কাছেই আতংকের একটি নাম। কারোর বাসায় কোন মেহমান আসলে তাদেরকে আটক টাকা-মোবাইলসহ মুল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়া ছাড়াও তাদেরকে ব্লাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। লোক লজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না বলেই সাবু তার বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধের পাশাপাশি পুরো পতেঙ্গা মাঠ এলাকাতে মাদক ও অপরাধের অভয়ারন্যে পরিনত করে তুলেছে।
তারা আরও বলেন, অয়ন ওসমানের সমন্ধি ভিকি ও তার চাচাতো ভাই নেছারের অন্যতম সহযোদ্ধা সাবুর কাছে রক্ষিত রয়েছে বিগত সময়ে ভিকি-নেছার বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলো। যা দিয়ে বর্তমানে মাদক স¤্রাট সেলিম কসাইয়ের মাদক স্পটগুলো চালাচ্ছে এবং চাদাঁদাবী করে বিভিন্ন বাড়ির মালিক ও স্থানীয়দেরকে ভীতি প্রদান করছে সাবু আর এতে শেল্টার দিচ্ছে যুবদল নেতা সহিদ ও অটো রিক্সা পার্টস ব্যবসায়ী নয়ন।
পতেঙ্গা মাঠ ( কাশেমনগর ) এর বাড়ির মালিক ও সাধারন মানুষ সাবু ও তার বাহিনীর অত্যাচার থেকে বাচঁতে জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাব-১১’র সার্বিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।