ষ্টাফ রিপোর্টার:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারনে সারাদেশে সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো করেছিলো হাসিনার সরকার। সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর কারফিউ প্রত্যাহারের পাশাপাশি সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লার মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়টি খোলা হলেও শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষকদেরকে বের করে দেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী কাশেমের স্বজনরা। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান কামালকে মারধর করে এবং তার গায়ের গরম পানি ঢেলে দিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান কামাল নারায়ণগঞ্জ তিন’শ শষ্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছেন।
গুরুতর আহত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান কামাল অত্র প্রতিবেদককে জানান,সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ঐদিন স্কুলে ছিলাম। স্কুল চলাকালীন সময়ে হঠাৎ পরাজিত সভাপতি প্রার্থী কাশেমের ঘনিষ্ট আলী সরদারের ছেলে রনি,মজিদ সরদারের আলামিন,কাশেমের ছেলে সানি ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির হোসেনের নেতৃত্বে আসা একাধিক লোকজন ক্লাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদেরকে জোড় করে বের করে দেয়। পরে আমি ও প্রধান শিক্ষক,সিনিয়র শিক্ষিকা রাবেয়া এবং আসাদ স্যারকে স্কুলে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা বলে বের করে দেয়।
এরপর আমি স্থানীয় একটি সেলুনে চুল কাটাতে গেলে কাশেমের ছেলে ও ভাতিজারা একত্রিত হয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমার উপর গরম পানি ঢেলে দেয়। এ সময় তারা সকলে আমাকে এলোপাতারি কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। তাদের আঘাতে আমার শরীর ও বুকে প্রচন্ড আঘাত লাগে। আমাকে বেদম মারধরের পর ওরা চলে গেলে আমি নারায়ণগঞ্জ তিন’শ শষ্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। তিনি আরও বলেন,স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে কাশেমের সাথে সকলের দুরত্বের সৃষ্টি হয়। সেই কারনেই তিনি স্কুলের প্রতিটি শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছেন।
এ বিষয়ে আমি এনায়েতনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটনের সাথে যোগাযোগ করি এবং একটি সুষ্ঠ সমাধান চাই। তিনি আমাকে বলেন,আমি ওদেরকে বলে দিয়েছি আর কোন সমস্যা হবেনা। তারপরও কাশেমের ভাই ও ভাতিজারা আমাকেসহ ৪ শিক্ষককে স্কুলে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা।