শিক্ষার্থীরাও ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধনের ঘোষনা
ষ্টাফ রিপোর্টার:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারনে সারাদেশে সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করেছিলো হাসিনার সরকার। গত ৫ আগষ্ট সরকার সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর নির্দেশ দেন। ৬ আগষ্ট শিক্ষক শিক্ষার্থীরা স্কুলে গেলে সকাল ১০টায় এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির হোসেনের নেতৃত্বে সরদার বাড়ির বড়গ্রুপ শিক্ষকদের হুমকী দিয়ে স্কুল থেকে জোড় করে বের করে দেয়। প্রধান শিক্ষক,সহকারী প্রধান শিক্ষক,শিক্ষক প্রতিনিধি মাহবুব কামাল,আসাদউল্লাহ ও রাবেয়া খাতুনকে স্কুলে ঢুকলে মেরে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকী দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। শিক্ষকরা চলে যাওয়ার সময় আনোয়ার হোসেন নামে আরেক বিএনপি নেতা মাহবুব কামালকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে স্কুলে না ঢোকার হুমকী প্রদান করে।
মাহবুব কামলা জানায়,এর পর আমি সকাল সাড়ে ১০টায় স্থানীয় একটি সেলুনে চুল কাটাতে গেলে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা মরহুম কাজী আবদুল মজিদ সাহেবের ছেলে আলামিন, আলী সরদারের ছেলে নাসিরউদ্দিন রনি তাদের দলবল নিয়ে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে নিজ গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করে।
নিজ বাড়িতে যেতে না পেরে বিসিকে প্রায় দুইঘন্টা ঘুরাঘুরি করে আবার সাড়ে ১২টায় নিজ বাড়িতে অসুস্থ্য মা দেখতে যাওয়ার সময় কাশেম বাহিনীর সামনে পড়ে যাই। তখন উক্ত আলামিন,নাসিরউদ্দিন রনি,কাশেমের ছেলে সানিম,নোয়াব আলীর ছেলে সালমান,সোবহান সরদার ছেলে সফিকসহ প্রায় ১৫/২০ জন একত্রিত হয়ে লাঠিসোঠা দিয়ে মির্মমভাবে মারধর করে। এ সময় আমি মাথা ঘুরে পড়ে গেলে নাসিরউদ্দিন রনি রাস্তার পাশে থাকা চায়ের দোকান থেকে গরম পানি এনে আমার গায়ে ঢেলে দেয়। আমার বাড়ির লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে নগরীর ২০০ শষ্যা হাসপাতালে পরে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শষ্যা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করায়। এসময় তাদের আঘাতে আমার মাথায় ও বুকে প্রচন্ড আঘাত পাওয়ায় এক্সরে ও সিটি স্ক্যান করাতে হয়।
তিনি আরও বলেন,গত ৩০ জুন সরদার বাড়ির কাশেম সভাপতি নির্বাচনে পরাজিত হলে ঐদিন তারা হামলা চালিয়ে স্কুল ভাংচুর করে এবং প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের না পেয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। এবং একজন শিক্ষককে মেরে গুরুতর আহত করে। পুনরায় আবার সরকার পতনের পর নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ক্ষোভে আমার উপর এ নির্মম হামলা চালায়। আমরা চার শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারছিনা।
এ বিষয়ে আমি এনায়েতনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন সাহেবকে সব ঘটনা জানাই। তিনি কাশেম বাহিনীর লোকজনকে স্কুল ও শিক্ষকদের উপর কোন রকম অপ্রীতিকর কিছু না ঘটাতে নির্দেশ দিলেও তারা মানেনি। বর্তমানে অন্যান্য শিক্ষকরা এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন। তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।