Views: 6
ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর মাসদাইর রহমান গার্মেন্টস সংলগ্ন মোঘল সাম্রাজ্যর ১৬তম বংশধর কিং আবদুর রহমান বাহাদুরের সম্পত্তি জোড়পুর্বক দখল নিতে আসলে তাতে বাধা দেয়া হলে নজরুল ইসলামগংদের হামলায় গুরুতর রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হলেও আসামীদের গ্রেফতারের পরিবর্তে উল্টো মামলার বাদীর ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে থানা পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করে আনার অভিযোগ করেছেন বাদী কিং আবদুর রহমান বাহাদুর। তবে থানা পুলিশের নিরবতার ফলে দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নজরুল ইসলামরা। তারা রাতের আধারে বিশাল বাহিনীর বহর নিয়ে একাধিকবার কিং আবদুর রহমান বাহাদুর এর বাড়িতে হামলা করলেও পুলিশের নিরবতাকে অনেকটা ভাবিয়ে তুলেছে আবদুর রহমানের পুরো পরিবারকে।
এর আগে মো.আবদুল জব্বার বাহাদুরের ছেলে কিং আবদুর রহমান বাহাদুর ফতুল্লা মডেল থানায় একটি দায়ের করা মামলায় তিনি উল্লেখ করেন যে,আমি আমার পৈত্রিক সূত্রে ওয়ারিশ প্রাপ্ত সম্পত্তি ভোগদখল করিয়া আসিতে থাকাবস্থায় বিগত ০৯/০৯/২০২৪ অনুমান দুপুর ১২ টায় মৃত.সিদ্দিক মোল্লার দুই ছেলে নজরুল ইসলাম ও শাহজালাল,মৃত.রফ মাদবরের ছেলে আনোয়ার, হাজী লুৎফর রহমান ইঞ্জিনিয়ারের ছেলে নজরুল ইসলাম তৈয়মুর,মৃত.হাজী মিজানুর রহমানের ছেলে সফিক ইসলাম, মৃত.মালেক মিয়ার ছেলে তমাল হোসেন, রপিকের ছেলে জিহাদ ও টিটুসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন আমার সম্পত্তি জোর পূর্বক ভাবে বেআইনী বেদখল করার লক্ষ্যে দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার সম্পত্তি বেদগখল করার চেষ্টা করিলে আমি উক্ত বিবাদীদের বাধা প্রদান করিলে উক্ত বিবাদীরা আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে এলোপাথারী ভাবে কোপাইয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করিলে আমি উক্ত বিষয়ে ফতুল্লা থানায় হাজির হইয়া ফতুল্লা মডেল খানা মামলা নং ১৪ (৯)২৪, ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৫০৬/১১৪/৩৪ দঃ বিধি ধারায় মামলা দায়ের করার পরেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর পরেও ফতুল্লা থানা পুলিশ আসামীদের সাথে যোগসাজস করিয়া আসামীদেরকে না ধরিয়া বিভিন্ন প্রকার তালবাহান করিতে থাকে। এমতাবস্থায় আসামীরা আমাকে আমার দায়েরকৃত মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হামকি ধামকি সহ আমার সম্পত্তি বেআইনী বেদখল করিবে মর্মে জোড়ালো হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে।
এদিকে মামলার বাদী কিং আবদুর রহমান বাহাদুর বলেন,নজরুল ইসলামগংদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার পর বিভিন্ন হুমকী-ধামকীর পর সোমবার ( ৪ নভেম্বর ) ভোর আনুমানিক ৪ টায় আসামী নজরুলসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগন আমার বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে থাকা আমার ঘুমন্ত ছেলে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন,যেখানে নজরুল ইসলামগংরা আমার মামলার আসামী। তারা উচ্চ আদালত হতে একটি নকল জামিনের কাগজ থানা পুলিশকে দেখিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাকেসহ পরিবারের সকল সদস্যকে হুমকী প্রদান অব্যাহত রেখেছে সেখানে একজন আসামী কিভাবে থানায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতারের পরিবর্তে উল্টো আমার ছেলেকে কিভাবে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় তা বোধগম্য হচ্ছেনা। আমি পুলিশকে বলবো,নজরুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে যে ভুয়া জামিনের কাগজ আপনাদেরকে দিয়েছে তা যাচাই করে দেখুন তা কতটুকু সত্য। কারন আমরা আদালতে খোজ নিয়েছি যে নজরুল ইসলাম উচ্চ আদালতে একজন বিজ্ঞ আইনজীবির সই জালিয়াতি করে সেটা আপনাদের হাতে দিয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জকে কিং আবদুর রহমান বাহাদুর বলেন,আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশে আমার উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছিলো নজরুল ইসলামগংরা আপনি তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিন।
এ বিষয়ে কিং আবদুর রহমান বাহাদুরের ফতুল্লা মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামী মো.নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৯৫৯-৪০১৪@@ ) বলেন,ভাই এখানে আমার পৈতৃকসুত্রে জাম রয়েছে। আমার দাগ একটি আর রহমানের দাগ আরেকটি। এ জমি নিয়ে আমি রহমানকে নিয়ে সকল বিষয়ের সমস্যা সমাধান করেছি। বাড়ির সামনে যেই সরকারী জমিটুকু রয়েছে সেখানে মাত্র ৬ফিট রাস্তা নিয়েই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আমি থানার স্বরনাপন্ন হলে থানা পুলিশ তদন্ত শেষে আমার মামলাটি গ্রহন করেছেন এবং সেই মামলায় রহমানের ছেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.মিজানুর রহমান ২ জানান, যদি নজরুল ইসলাম মহামান্য আদালত থেকে ভুয়া জামিন নিয়ে আসেন তাহলে সেটা প্রমান করতে হবে বাদী পক্ষের। তারা যদি সেই প্রমানপত্র আমাকে দিতে পারে তাহলে আমি অবশ্যই আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।