ষ্টাফ রির্পোটার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার রামারবাগ ও কুতুবাইল এলাকার চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী সোহেল ও অলি বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলেছে খবর পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, রামারবাগ এলাকা অলি মিয়ার পুত্র সোহেল একসময়ের মূর্তিমান আতংক প্রয়াত গিয়াসউদ্দিন এর সহযোগী মুরাদের অনুচর।
৫ আগষ্ট ছাত্র- জনতার আন্দোলনের পর মুরাদ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও সোহেল ভোল পাল্টে বিএনপির কর্মী বনে যায়।
এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঝুট সহ মালামাল নিয়ন্ত্রণ নিতে অপর ঝুট সন্ত্রাসী মারুফের সাথে হাত মিলিয়ে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্র হতে জানা যায়,রামারবাগে মিশর গার্মেন্টস এর ফ্লোর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।সেই প্রতিষ্ঠানের ঝুট দখল নিতে বেপরোয়া আচরন করে সোহেল ও তার পিতা অলি মিয়া।
সম্প্রতি সোহেল ও তার পিতা অলি মিয়া ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মিশর গার্মেন্টস লেবার লাল মিয়া ও নুরু মিয়াকে মারধর করে ঝুট লুট করার অপচেষ্টা চালায়।এতে লেবার সর্দার নুরু মিয়া বাঁধা প্রদান করলে সোহেলের পিতা অলি মিয়া নিজে চড়থাপ্পড় মারে নুরু মিয়াকে।অপর লেবার লাল মিয়াকে টেনে হেচঁড়ে প্রতিষ্ঠান হতে বের করে দিয়ে সোনারগাঁও নিটিং এর গলিতে নিয়ে মারধর করে।এতে করে মিশর গার্মেন্টস এর ব্যবসায়ীরা আতংক গ্রস্ত হয়ে পড়ে।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন,একমাস অন্তর অন্তর জমিয়ে রাখা কাপড়ের মাথা সহ ঝুট আমরা বিক্রি করে থাকি।গত ডিসেম্বর মাস হতে উক্ত মাল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে সোহেল ও তার পিতা অলি মিয়া বাহিনী।ঝুট দিতে অস্বীকার করলেই লোডার ও শ্রমিকদের মারধর করে। এতে করে আমরা চরম আতংকের মধ্যে দিনযাপন করছি।
ঝুট সন্ত্রাসী সোহেল ও অলি মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগী মহল।