ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাইনবোর্ড শান্তিধারা হর্কাস মার্কেট এলাকায় চাদাঁবাজি করার সময় সঞ্চয় বাহিনী প্রধান সঞ্চয়কে গনপিটুনী দিয়েছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় চাদাঁবাজি করার সময় উক্তেজিত জনতা গনপিটুনী দিতে থাকে। একপর্যায়ে সঞ্চয় ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
কান্তি ধারা হকার্স মার্কেটের মালিক ইউসুফ পাটোয়ারী, রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, চায়ের দোকানদার সোহান, আরমান, শহীদ বলেন, গত ৫ ই আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সঞ্চয় শাহাদাত, মাহফুজ,রাকিব,রাব্বি এলাকার নিরীহ লোকদেরকে জেলা যুবদল ও বিএনপির পরিচয় দিয়ে হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো।
এমনকি তারা অনাবিল পরিবহন, শান্তি ধারা হকার্স মার্কেট সহ ফুটপাত হতে চাদাঁবাজি করে আসছিল। এজন্য তারা জেলা যুবদলের ব্যানার ব্যবহার করে অফিস খুলে বসে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সঞ্চয়, মাহফুজ, রাকিব, রাব্বি, ভুয়া পুলিশ পরিচয়দানকারী শাহাদাত বিএনপির নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের দোসর সাদ্দাম, রাসেল, তানহাকে নিয়ে চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্ম করে আসছিল।
এজন্য তারা বিভিন্ন সময় ছাত্রদলের ও যুবদলের নাম ব্যবহার করতো।
এুল্লুক চান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, শাহাদাত পুলিশের নাম ব্যবহার করে ও বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে অনাবিল পরিবহন,শান্তিধারা হকার্স মার্কেট সহ বিভিন্নভাবে ভাবে চাদাঁ আদায় করে যাচ্ছিলো।
এলাকার মার্কেট মালিক মজিবুর রহমান বলেন, দোকান ভাড়া জোর করে আদায় করে নিতো। তাদের নিষেধ করলে তারা মান্য করেনি বরং প্রতিবাদকারীদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতো এবং হয়রানি করতো।
চায়ের দোকানদার সোহান বলেন, আমার কাছ থেকে ৭০০০ টাকা বাকি খেয়েছে। টাকা চাইলে নানান ধরনের হুমকি প্রদান করে।
এমনকি রিক্সার গ্যারেজ মালিকরাও উক্ত চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুবদল, বিএনপির নাম ব্যবহার করায় সঞ্চয়কে ও তার সহযোগীদের গনপিটুনী দেয়। এক পর্যায়ে সঞ্চয়সহ তার সহযোগী মাহফুজ, রাকিব, রাব্বি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এসব চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।