ষ্টাফ রিপোর্টার:
আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে হামলা-লুটপাটের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকা এবং সব ধরনের সহযোগীতা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সেহাচর তক্কারমাঠ বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ সংখ্যালঘু পরিবারের নিরাপত্তা এবং কুতুবপুর ৮ নং ওয়ার্ড এলাকা নিরাপদ রাখতে টিম গঠন করে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড এর তিন তিনবারের সাবেক মেম্বার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি মন্টু মিয়া। ব্যবসায়ীরা জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জেলার বিভিন্ন এলাকায় হামলা, লুটপাট শুরু হয়। আমাদের সেহাচর তক্কারমাঠ এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় দোকানপাট ভাঙচুর লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। ভয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। আতঙ্কিত ব্যবসায়ী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তক্কারমাঠ বাজারসহ ৮নংওয়ার্ডের আশপাশে এলাকায় চাঁদাবাজি লুটপাট করেছে। সেই চাঁদাবাজি লুটপাট বন্ধের দাবিতে অত্র এলাকার সকল ব্যবসায়ীরা মিলিত হয়ে তিন তিনবারের সাবেক মেম্বার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার এর কাছে যান। পরে সকল ব্যবসায়ী ও এলাকার সুশীল সমাজকে নিয়ে আলোচনা করেন। এবং তাদেরকে অভয় দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করতে বলেন। তিনি আরো বলেন অত্র এলাকায় কেউ যদি বিএনপির নাম ব্যবহার করে লুটপাট চাঁদাবাজি কাউকে হুমকি দেয় তাহলে আপনারা সকল ব্যবসায়ীরা এক হয়ে তাকে বেঁধে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। বিএনপি কখনো চাঁদাবাজি লুটপাট এর রাজনীতি করেনা আমি বিগত দিনে নিজের বাড়ী বিক্রি করে হাজারো মানুষের শেষ ঠিকানা কবরস্থান তৈরি করে দিয়েছি আমি কখনো আমার নিজের কথা চিন্তা করিনি শুধ চিন্তা করেছি আপনাদের নিয়ে তাই আমার এলাকায় কেউ অপকর্ম করবে তা আমি কখনো মেনে নেবনা তাই আমি আগেও আপনাদের পাশে ছিলাম এখনো আছি।
অপর দিকে কুতুবপুর ইউনিয়ণ ৮ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, লুটপাট, ডাকাতি ঠেকাতে এলাকা ভিত্তিক পাহারা বসানো এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অব্যাহত রেখেছেন সাবেক সফল মেম্বার মন্টু মিয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন মাস্টার, বিএনপি নেতা মোঃ শামীম, মোস্তফা, মনির, সোহেল খন্দকার, শাকিল, ব্যবসায়ী হুমায়ণ কবির, সিদ্দিকুর রহমান, সোহেল, তাহের আলীসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ও এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ।