ষ্টাফ রিপোর্টার
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে টিকটকার সোমা খানকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে আশরাফুল নামে এক লম্পট। আশরাফুল দ্বিতীয় বিয়ে করায় তিনটি কন্যা সন্তান নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে জোহরা বেগম।।
জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার কালি ডিগ্রী পাড়া গ্রামের বর্তমানে ফতুল্লার পঞ্চবটি মর্ডান হাউজিং এলাকার বাসিন্দা দিন মজুর ইছা আলীর কন্যা জহুরা বেগমের সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার বোরোরচর সরদার পাড়া এলাকার আনিস আলীর পুত্র আশরাফুলের সাথে। বিবাহিত জীবনে তাদের সংসারে তিনটি কন্যা সন্তান হয়।
তা সত্ত্বেও টিকটকার সোমা খানের খপ্পরে পড়ে তাকে বিয়ে করে আশরাফুল। এতে করে জহুরা বেগমের সুখের সংসারে নেমে আসে কালো মেঘের ছায়া।
আশরাফুল তার তিন কন্যা সন্তানের ভরণপোষণ না দেওয়ায় অমানবিক জীবন যাপন করছে জহুরা বেগম ও তার তিন কন্যা সন্তান।
বাধ্য হয়ে ময়মনসিংহ ছেড়ে দিনমজুর পিতার বাড়িতে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে জহুরা বেগম। সাথে নিয়ে আসেন তার তিন কন্যা সন্তানকেও।
অপরদিকে দ্বিতীয় বিয়ে করে আশরাফুল তার নব স্ত্রীকে নিয়ে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে উঠলেও আগের সংসারের কোন খরচ পাতি না দেওয়ায় কষ্ট দিন যাপন করতে হচ্ছে জহুরা বেগমকে।
জহুরা বেগমের পিতা দিনমজুর ইছা আলী জানান, আমার মেয়ের জামাই আশরাফুল অনেক ভালো ছিল। তার মাসিক আয়ও ভালো ছিলো।
কিন্তু টিকটকার সোমা খানের খপ্পরে পড়ে আমার মেয়ের সুখের সংসারে নেমে আসছে অশান্তি। আশরাফুল সংসারে কোন ভরন পোষন দিচ্ছেন না। তাহলে তিনি বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।
অপরদিকে আশরাফুল মুঠোফোন নাম্বার ০১৯১৩২৬৭৫## জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমি বিয়ে করেছি।দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া কাবিন দেওয়া হয়েছে ৮ লক্ষ টাকা। আমি আমার তিন মেয়ের ভরণপোষণ দিয়ে যাচ্ছি। কে বলেছে তাদের খোজ খবর নেই না। এটা ঠিক নয়।