ষ্টাফ রিপোর্টার:
৫ আগষ্টের পর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পর বিএনপিতে যেন কোন আওয়ামী দোসর যেন অনুপ্রবেশ করতে না পাওে সেই নির্দেশনা রয়েছে তারেক রহমানসহ দলের হাইকমান্ডের প্রতিটি শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু কেন্দ্র কিংবা দলীয় নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো ছাড়া সেটা মানার লক্ষন দেখায় নি বিএনপির তৃনমুল নেতৃবৃন্দ। নিজেদের আখেড় গোজানো এবং অধিক আয়ের পথ খুজে পেতে আওয়ামী দোসররাই যেন প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বিএনপি নেতৃবৃন্দরা দলে প্রবেশ করাচ্ছে। ফতুল্লার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের শিবু মার্কেট এলাকায় রাস্তার দুইপাশে গড়ে উঠা দোকানীদের কাছ থেকে আওয়ামীলীগের দোসর নিষিদ্ধঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও অয়ন ওসমানের আস্থাভাজন টিপু সুলতানের ঘনিষ্ট সহযোদ্ধা নাসির ওরফে চটপটি নাসিরকে দিয়ে নিয়মিত চাদাঁ আদায় করাচ্ছেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক এস কে শাহীন।
নিষিদ্ধঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও অয়ন ওসমানের আস্থাভাজন টিপু সুলতানের ঘনিষ্ট সহযোদ্ধা নাসির ওরফে চটপটি নাসিরকে প্রকাশ্যে এনে চাদাঁবাজিতে উন্মুক্ত হয়ে পড়েছেন এস কে শাহীন। অথচ এ চটপটি শাহীনের দাপটে বিগত আওয়ামী শাসনামলে যেমন ফুটপাটের ব্যবসায়ীরা ছিলেন আতংকিত ঠিক ৫ আগষ্টের পর এসকে শাহীনের আর্শীবাদে আওয়ামী ডেভিল চটপটি নাসির যেন আবারো আতংকের নামে পরিচিত হয়েছে ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের কাছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবু মার্কেট এলাকার একাধিক ফুটের ব্যবসায়ী জানান, বিগত প্রায় ১৬ বছর ছাত্রলীগ নেতা টিপু সুলতানের সহযোদ্ধা নাসির ওরফে চটপটি নাসির ছিলেন আমাদের সাধারন ব্যবসায়ীদের কাছে আতংকের একটি নাম। ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুথানের পর টিপু পালিয়ে গেলেও কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলো অত্র এলাকার চিহিৃত চাদাঁবাজ নাসির। কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক এস কে শাহীনের নেতৃত্বে আবারও প্রকাশ্যে এসে চাদাঁবাজি শুরু করেছে এ চটপটি নাসির। কিছুদিন আগেও শিবু মার্কেট পুলিশ বক্সের সামনে দুইটি দোকান বসাতে গিয়ে দুই দোকানীর কাছ থেকে এসকে শাহীনের জন্য দোকান প্রতি বিশ হাজার টাকা এবং এবং চটপটি নাসির নিজের জন্য আলাদাভাবে ৪ হাজার টাকা করে আদায় করেন। এছাড়াও শিবু মার্কেট এলাকায় রাস্তার উভয় পাশে গড়ে উঠা প্রায় শতাধিক দোকান থেকে দোকানপ্রতি প্রতিদিন দেড় শত টাকা করে চাদাঁ নিচ্ছেন এসকে শাহীনের জন্য বললেন সাধারন দোকানীরা। যদি কেউ চাদাঁ দিকে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে তাহলে তাকে পরের দিন দোকান খুলতে দেয়না এবং সেই দোকানটি মোটা অংকের বিনিময়ে অন্যত্র ভাড়া দিয়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান,বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এসকে শাহীনসহ বিভিন্ন বিএনপির নেতারা চাদাঁবাজির বিরুদ্ধে ঝাঝালো বক্তব্য দিলেও বাস্তবে তারা অনেকেই চাদাঁবাজিতে লিপ্ত রয়েছেন। যেমনটি হলেন এসকে শাহীন। তারা আরও বলেন,দেশব্যাপী অপরাশেন ডেভিল হান্টের কার্যক্রম চললেও এসকে শাহীনের নেতা ছিচকে নেতারা আওয়ামীলীগের অনেক ডেভিলকে তাদের সাথে রেখেই চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তারা ক্ষোভের সাথে বললেন, ৫ আগষ্টের পর আমরা হয়বতা ভেবে ছিলাম নতুন একটি বাংলাদেশ পাবো। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এসকে শাহীনের মত নামধারী ছিচকে নেতাদের কারনে তা সম্ভব হয়ে উঠতে পারছিনা। আমরা যারা রাস্তার পাশে দোকান করে পরিবার-পরিজন নিয়ে দু’বেলা খাবার খেয়ে কোনমতে বেচে আছি তারা এ চটপটি নাসির ও এসকে শাহীনদের অব্যাহত চাদাঁবাজি থেকে মুক্তি চাই। এ জন্য আমরা জেলা ও ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলা পুলিশের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
যদিও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও অয়ন ওসমানের আস্থাভাজন টিপু সুলতানের ঘনিষ্ট সহযোদ্ধা নাসির ওরফে চটপটি নাসিরের বক্তব্য তিনি কখনও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেনি, ভাই আমি ছাত্রলীগ করিনাই তাহলে শামীম ওসমান,চন্দন শীল ও শাহ নিজামগংদের সাথে থাকা ছবিগুলো কি প্রকাশ করে তা কেউ বলতে পারবে। যদি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতিতে চটপটি নাসির জড়িত না থাকতো তাহলে কেনইবা ৫ আগষ্টের পর গা ঢাকা দিয়েছিলো। তবে স্থানীয় এবং ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের মতে,গর্তে লুকিয়ে থাকা চাদাঁবাজ চটপটি নাসিরকে এখানে পুর্নবাসন করেছেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক এস কে শাহীন। তিনি নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হতেই আওয়ামী এ ডেভিল চটপটি নাসিরকে দিয়ে পুর্বের ন্যায় বর্তমানেও শিবু মার্কেট এলাকাতে চাদাঁবাজির লাইসেন্স দিয়েছেন।