ষ্টাফ রিপোর্টার
ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এসকে শাহীনকে নিয়ে জাগো নারায়নগঞ্জ ২৪.কমে প্রকাশিত সংবাদে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে নানান অপকর্মের হোতা এসকে শাহীনকে দল থেকে বহিস্কার ও গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানিয়েছেন বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মী ও এসকে শাহীনের চাঁদাবাজির শিকার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মহল।
ফতুল্লা থানা বিএনপির বহিস্কৃত এক নেতার নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। কেউ তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে তার পালিত কিছু মাদকসেবি ও মাদক বিক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কর্থিত কিছু অখ্যাত অনলাইন পোর্টালে এসকে শাহীনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের নামে গুনগান প্রচার করায়। এমনটাই দাবী করেন শাহীনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে খুশি হয়ে স্থানীয়রা। তবে তাদের অপ-সাংবাদিকতা নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক বার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এমনকি পোর্টালের সাংবাদিক মাদক সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হাতে আটক হয়েছিল।
এদিকে এসকে শাহীনকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয়রা অত্র প্রতিবেদককে জানান,আওয়ামীলীগের শাসনামলে শিবু মার্কেটসহ আশপাশ এলাকার আতংক ছিলেন ওসমানীয় সা¤্রাজ্যের অন্যতম দোসর নাসির ওরফে চটপটি নাসির। ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে অন্যত্র লুকিয়ে ছিলেন সেই চটপটি নাসির। কয়েকদিন পর স্বেচ্ছাসেবক দলের এসকে শাহীন তাকে কাছে টেনে নিয়ে সুপরিচিত চাদাঁবাজ নাসির ওরফে চটপটি নাসিরকে দিয়েই পুনরায় ফুটপাতে চাদাঁবাজি শুরু করেন বর্তমানে এসকে শামীনের পালিত চাদাঁবাজ নাসির।
তারা আরও বলেন, এসকে শাহীন অত্যন্ত সুচতুরভাবেই চটপটি নাসিরকে দিয়ে প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে চাদাঁ আদায় করাচ্ছেন। শুধু চাদাঁ নিয়েই ক্ষ্যান্ত নন বরং প্রতিটি দোকান থেকেও মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন এ চাদাঁবাজচক্র। যদি কেউ চাদাঁ দিতে অস্বীকৃতি জানাতেন তাহলে পরের দিন সেই দোকানীকে দোকান খুলতে দেয়া হতোনা। তারা অত্র প্রতিবেদককে আরও বলেন,প্রয়োজনে সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা এখানে আসুন আপনাদের কাছে ভিডিওর মাধ্যমেই জানাবো চটপটি নাসির ও শাহীনের চাদাঁবাজির কাহিনী।
পাঠকদের অনুরোধে আবারো প্রকাশিত সংবাদটি তুলে ধরা হলোঃ
সরেজমিন শিবু মার্কেট কায়েমপুর,সস্তাপুর,কুতুবাইল এলাকার ঘুরে জানা গেছে এসকে শাহীনের নানান অপকর্মের কাহিনী। সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে রাজি না হলেও কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,এসকে শাহীন বহিস্কৃত বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর শেল্টারে থেকে উল্লেখিত এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে চাঁদা আদায়,ঝুট দখল, জমি জমা ক্রয় বিক্রয়, কেউ নতুন বাড়ি করতে গেলে বাধ্যতামুলক ভাবে চাঁদা দিতে হয়।
একটি সুত্র হতে জানা যায়,এসকে শাহীন ইউসুফের মালিকানাধীন বোর্ড মিল হতে মাসিক ৩০ হাজার টাকা,ওসমান গার্মেন্টস হতে মাসিক ৪০ হাজার টাকা, প্যাট্রিয়ট গার্মেন্টস হতে মাসিক ৫০ হাজার টাকা, রেডিক্যাল গার্মেন্টস হতে মাসিক ৫০ হাজার টাকা,ক্ষুদ্র দোকান পাট গুলো হতে ১০০০-২০০০ টাকা আদায় করছে। সাইদুল ইসলামের খামার হতে গরু নিয়ে বিক্রি করে দেয়। জেলখানা পশু হাসপাতালের সংলগ্ন খামার হতে গরু নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ নেতা মজিবরের বাড়িঘর ভাংচুর চালায়।
আড়াইহাজার এলাকার মনির হোসেনের বাড়ি দখল করে অফিস বানিয়ে সেখান থেকে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে এসকে শাহীন বাহিনী।এছাড়াও এলাকায় মাদক,চুরি, ছিনতাই সহ নানান অপকর্ম করাচ্ছে এসকে শাহীন।
রিয়াদ চৌধুরীর প্রভাব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পদবী ব্যবহার করে নানান অপকর্ম করে এখনো দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
ফতুল্লা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ মুঠোফোনে জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪.কমকে বলেন,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল শৃংখল ও সুন্দর দল। ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা বিএনপি জনগণের দল জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সারাদেশে বহিষ্কার করছে ও শুদ্ধ অভিযান চালাচ্ছে যারা দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করছে তাদের বিরুদ্ধে।
এস কে শাহিন যদি মনে করে অমানবিকভাবে অপকর্মে লিপ্ত থাকবে তারা যেন সতর্ক হয়ে যায়। যদি উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় এস কে শাহিনের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে এসকে শাহীন মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,প্রথমত মজিবর আমার সমন্ধি। তার সাথে পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে তা একটা সময় অবসান ঘটবে। মনির হোসেনের জমি দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৮ বছর আগে আমাদের একটি জমি থেকে মিউটিশন কেটে সে জমিটি দখল করেছিলো পরবর্তীতে মামলা করে সেটায় জয়ী হয়ে আমি আমাদের জমিটি নিজের আয়ত্বে নিয়েছি। বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন,উক্ত গার্মেন্টস এর মালিকরা আমাকে চিনে কিনা বা আমি কখনো তাদের ওখানে গিয়েছি কিনা তাও বোদহয় তারা কেউ বলতে পারবেনা। প্রয়োজনে আপনি উক্ত মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন। তাছাড়া টাকার বিনিময়ে সবাইতো মালামাল নিতে পারেন। সাইদুলের গরুর বিষয়ে তিনি বলেন, গরুটির বিষয়ে আপনি সাইদুলের স্ত্রীকে ফোন করে জানতে পারেন আমি সেটা নিয়েছি কিনা। বরং সেটা উদ্ধারের জন্য কতটুকু সহযোগিতা করেছি তা সাইদুলের স্ত্রী বলতে পারবে। আর ক্ষুদ্র দোকান পাট গুলো হতে চাদাঁবাজি সর্ম্পকে তিনি বলেন,এর একটা অংশ থেকে যুবদলের পরিচয়ে রুবেল চাদাঁবাজি করছে। এ চাদাঁবাজির প্রতিবাদে আমি শিবু মার্কেট এলাকাতে মানববন্ধনও করেছি। তিনি আরও বলেন,পুরো এলাকাতে ঘুরে দেখুন এবং জানুন কোন দোকান হতে বাকি খাই কিনা এবং তারা আমার কাছ থেকে কোন একটা পয়সা পাবে কিনা।