ষ্টাফ রির্পোটার
বিগত আওয়ামী লীগের আমলে ১৭ বছর! ক্ষমতা ও সুবিধা বাদে ছিলেন অগ্রভাগে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নাজির হোসেনের সাথে মিলেমিশে সোহরাব ও হালিম মাতবর নানান সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত ছিল।
এমনকি বিএনপি নেতা কর্মীদের নানান ধরনের নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ভুল পাল্টে হালিম মাতবর ও সোহরাব হোসেন বিএনপির নেতাকর্মী বনে যায়।
৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে বর্তমানে বিএনপি’র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করে নিজেদেরকে বিএনপি’র নেতা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডে যে সব আওয়ামীলীগের নেতারা বিএনপির কর্মীদের উপর নির্যাতন করছে তাদের মধ্যে সোহরাব হোসেন ও হালিম মাতবর অন্যতম।
৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দীন এর ১৮ অক্টোবর শুক্রবারের জনসভায় যোগদান করে সোহরাব হোসেন ও হালিম মাতবর।
এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বক্তাবলী ইউনিয়নে বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
৯নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন,সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতারা গিয়াসউদ্দিনের জনসভায় যোগদান করেন।তারা হচ্ছেন সোহরাব,হালিম মাতবর,মজিবর,জাহাঙ্গীর,
কাবাদ, মুক্তার।
এ নিয়ে বক্তাবলী জুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সোহরাব ও হালিম মাতবর তোমরা কার! আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপির।