ষ্টাফ রিপোর্টার:
ছয় দফা দাবীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ।
১৪ই আগষ্ট বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
১৮ আগস্ট এর মধ্যে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ, এই সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আন্দোলনে আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত, আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের জন্য যৌক্তিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, নারায়ণগঞ্জের শহীদদের স্মরণে জেলা ও উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘স্মৃতি স্তম্ভ ও নাম ফলক’ তৈরি, অনতিবিলম্বে প্রতিটি হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা এবং জেলার প্রাণকেন্দ্রে হতাহত ও লড়াইয়ের স্মৃতি সংরক্ষণে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করতে হবে এই ছয় দফা দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর নারায়ণগঞ্জ জেলার পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ফারহানা মানিক মুনা।
স্মারকলিপি প্রদানে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান। এছাডাও জেলার অন্যান্য সমন্বয়ক সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে আশ্বস্ত করেন তারা সর্বোচ্চ দিয়ে আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সহ আহত ও নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত এবং তাদের ক্ষতিপূরণ এর ব্যবস্থা করবেন। একই সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে অনুরোধ জানান তাদের ব্যানার ব্যবহার করে অন্য কেউ যেন অপরাধ সহ কোন চাঁদাবাজি করতে না পারে তার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যেক সদস্যদের সজাগ থাকার কথা বলেন।
উল্লেখ্য যে, সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সময়ের প্রয়োজনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলনে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলার জীবনের বিনিময়ে ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে। অন্যান্য জেলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা জানা গেলেও নারায়ণগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত এর সংখ্যা জানা যায় নাই। গত ৬ আগস্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষের মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কিছু সুনিদিষ্ট দাবি জানানো হয়। কিন্তু সেসব দাবি পূরণের বিষয়ে কোন দৃশামান ভূমিকা পালন করেনি জেলা প্রশাসক। এটা যেমন দুঃখের তেমনি লজ্জার। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করেছে। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় হতাহতদের বিষয়ে ছয় দফা দাবি পেশ করেছে।