বন্দর প্রতিনিধি// মুন্সিগঞ্জের এক সময়ে শ্রমিক হয়ে শহর বদরে আসে। শহর বন্দরে এসেই তাদেরন অবস্থান পরিস্কার করেন। সেভেন মার্ডার মামলার আসামী নুর হোসেনের পথ অনুসরন করে চাঁন মিয়া অল্পদিনে নিজের অবস্থান দূর্ধষ চাঁন মিয়া হিসাবে বন্দর শহরে। নুর হোসেনের পথ ধরেই চাঁন মিয়া ছিল বিশাল দাপটে । তারা লেজুড়বৃত্তিক ছিলেন না। ওসমান পরিবারের দোসর ছাড়াও মুন্সিগঞ্জের এড.মিনাল কান্তির ছায়া ছিল তাদের উপর। সেভেন মার্ডার মামলার আসামী বর্তমানে জেল হাজতে নুর হোসেন, সেলিম ওরফে কিলার সেলিম, চাঁন মিয়া, আবু সুফিয়ানদের একটি গোপন সখ্যতা ছিল। যারা মদ সেবন করতে গিয়ে তাদের কথার ভয়েস রের্কড প্রকাশ পায়। ওই রের্কডে শোনা যায় নুর হোসেন তাদের গ্লাসে মদ দেয়। আর সেলিম ওরফে কিলার সেলিম, সুফিয়ান ও চান মিয়াকে বলতে শোনা যায় বললে শামীম ওসমান কি মাকসুদ কি শেষ করে দিব। নদীখেকু চাঁন মিয়াসহ ঐ গ্রুপকে এড. মিনাল কান্তি সার্বিক শেল্টার দিত। বর্তমান সময়ে সকল ত্রাসরা পালিয়ে গেলেও পূর্বের চেয়ে বেশি দাপটে অবস্থায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী ওসমান ও মৃনাল কান্তির দোসর চাঁন মিয়া। অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযানে ফ্যাসিস্ট সরকারের চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে অনেক অজানা তথ্য।
নারায়নগঞ্জ জেলার একজন আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি চাঁন মিয়া। কেউ তাকে বালু, ড্রেজার, ভূমি, নদী খেকু আবার কেউ টাওয়ার চাঁন মিয়া নামে চিনে। অবৈধ পন্থায় উর্পাজিত টাকায় অসম্ভবকে সম্ভব করা অক্ষরঞ্জান সম্পন্ন চাঁন মিয়া এতে বেশ পটু। ২০১৭ সালে স্থানীয় কাউন্সিলর সুলতান আহমদসহ ৭ জনকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেও টাকা ও স্বৈরচারী সরকারের ওসমান পরিবারের দোসর হওয়ায় মূর্খ লোকদের বাহিনীর কাছে নির্বাচিত কাউন্সিলর অসহায়। স্বৈরচারী সরকারের ১৬ বছর বিশাল দাপটে অবস্থানে ছিল, বর্তমানেও তাই। চাঁন মিয়াকে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরছে কিভাবে এমনই অভিযোগ রয়েছে সচেতন মহলের। বিগত সময়ে ওসমান পরিবারের দোসর হয়ে সকল অপকর্মের হোতা হয়েও রক্ষা পেয়ে যেতেন তাদের জন্য। বিগত সময়ের তার উগ্রতাকে বর্তমান সরকারের সময়ে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল। যেখানে নির্বাচিত কাউন্সিলরকে পিটিয়ে আহত করে সর্টগান নিয়ে আসেন তল্পীবাহক চাঁন মিয়া। অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযান চালিয়ে বহুরূপী চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবা করলে বেরিয়ে আসবে অনেক অজানা তথ্য।
সূত্র মতে, বন্দরের ইট বালু ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মেদ (৪৮) ও তার ভাগিনা পনির ভূইয়াসহ ৭ জন নির্মান শ্রমিক আহত হয়েছে। আহতরা হলো, কাউন্সিলর সুলতানসহ পরিন (৩০) নির্মাণ শ্রমিক মাহাবুব (২৮) ইমরান (৪৮), হবিবর (৫৫) আক্তার (৪০) ও ভাবলু (১৮)। গতকাল সোমবার সকাল বন্দর ১নং খেয়া ঘাটস্থ চাঁদনী সুপার মার্কেটের সামনে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় হামলাকারিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় বেবীস্ট্যান্ডের শ্রমিকরা কাউন্সিলরকে হামলাকারিদের কবল থেকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে আহত কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মেদ ঘটনার পরই ইটবালু ব্যবসায়ী চাঁন মিয়াসহ তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে আহত কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মেদ জানান, গত ১ মাস ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডে স্কুল ঘাট হইতে বন্দর ১নং খেয়াঘাট পর্যন্ত আর সিসি ড্রেন নির্মান কাজ চলছে। আমি সোমবার সকালে ড্রেন নির্মান কাজ পরিদর্শনে আসি। আমাকে দেখে চাঁদনী মার্কেটের মালিক চাঁন মিয়াসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নির্মান শ্রমিকদের সিটি কর্পোরেশনের ড্রেন নির্মান কাজে বাধা দেয়। শ্রমিকরা চাঁন মিয়ার কথা না শুনে সরকারি কাজ চালিয়ে গেলে এতে চাঁন মিয়াসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মান শ্রমিকদের মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী চাঁনমিয়া আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মেদের উপরে হামলা চালায়।
এ ব্যপারে ইট বালু ব্যবসায়ী চাঁনা মিয়া জানান, সিটি করপোরেশনের ড্রেন নির্মাণ কাজের সময় তার মার্কেটের দেয়াল বিনা নোটিশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলর সুলতান ও নির্মাণ শ্রমিকরা তার উপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় বন্দর ফাড়ির দারোগা অজয় ৩জন ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই চানমিয়াসহ তার বাহিনী কাউন্সিলর সুলতানের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ রহস্যজনক কারণে নিরব ভুমিকা পালন করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনাটি ২০১৭ সালে ২২ নং নাসিক বন্দর ১ নং খেয়াঘাট এলাকায় ঘটেছে।৩জন ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই চানমিয়াসহ তার বাহিনী কাউন্সিলর সুলতানের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ রহস্যজনক কারণে নিরব ভুমিকা পালন করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনাটি ২০১৭ সালে ২২ নং নাসিক বন্দর ১ নং খেয়াঘাট এলাকায় ঘটেছে।