ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিল্লা মেম্বার ফেরদৌস আরা অনা। যিনি নারায়ণগঞ্জ – ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গড ফাদার খ্যাত শামীম ওসমানের আর্শিবাদপুষ্ট ও তার সহ-ধর্মীনি সালমা ওসমান লিপির আস্থাভাজন দূর্নীতির মহারানীর খেতাব প্রাপ্ত এই মহিলা মেম্বার ফেরদৌস আরা অনা। বিগত দিনে দলীয় ক্ষমতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক।
ফতুল্লা ইউনিয়ন ৪, ৫, ৬ ওয়ার্ডের জনগনের সাথে আলাপ করে জানা যায়,ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন সনদ, বয়স্ক ভাতার কার্ড, কাবিখার প্রকল্প বাস্তবায়নে ,টিসিবির পন্য বিতরনে দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ছেন বিশাল অংকের টাকা। তার নির্বাচনী এলাকার ছোট থেকে মাঝারী প্রতিটি প্রকল্পেই খাটিয়েছেন গড ফাদার শামীম ওসমানের প্রভাব। গডফাদার শামীম ওসমানের সাথে সখ্যতা থাকার কারনে এলাকার বিভিন্ন বিচার শালিসেও ছিল তার বিশাল আধিপত্য।
তার দাপটের কাছে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন ও ছিলেন অসহায়। মেম্বার ফেরদৌস আরা অনার অপকর্মের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের নিকট বেশ কয়েকটি উপস্থাপন হলেও তার প্রভাবের কারনে কোন ব্যবস্থা নিতেন পারেননি তিনি।
শুধু তাই নয় ফেরদৌস আরা অনার স্বামী লিটন এক সময়ের ফুটবলার হলেও বর্তমানে মাদক সেবী ও মাদক বিক্রয়ের সাথে জড়িত বলে জানান এলাকাবাসি। তার নির্বাচনী এলাকা ইসদাইর, কপুইড়া পট্রি সহ এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি মাদক স্পর্টে লিটনের নেতৃত্বে চলে রমরমা মাদক বিক্রি। তার স্বামী লিটন ছিলেন গডফাদার শামীম ওসমানের অন্যতম ভুমিদস্যুতার সৈনিক শাহ নিজামের আস্থাভাজন একজন। যার প্রভাব খাটিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই ছিলেন অত্যন্ত বেপরোয়া। স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের আশ্রয়দাতারা ৫ আগষ্টের পর নারায়ণগঞ্জ ত্যাগ করলেও তারা কিন্তু এখনও দূর্দান্ত প্রতাপ খাটিয়ে চলছেন এলাকাতে।
এলাকাবাসি আরো জানান, ফেরদৌস আরা অনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গডফাদার শামীম ওসমানের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তার স্বামী লিটন বীদর্পেচালিয়ে যাচ্ছে অপকর্ম। এলাকাবাসির পক্ষ থেকে প্রশাসনের আহবান, ফেরদৌস আরা অনা ও তার স্বামী লিটনের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।