বন্দর প্রতিনিধি // নারায়নগঞ্জ বন্দরে যুবলীগ ক্যাডার ওসমান পরিবারের দোসর ও নানা অপকর্মের হোতা রমজান মিয়ার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনা বিরাজ করছে। ডিবি পুলিশের সাথে গুলাগুলি, বালু, ভূমিদস্যুতা, ড্রেজার, ওয়ারিশ ব্যবসা, অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ, বিচার বাণিজ্যসহ সকল কিছুই যেন তার কথায় চলে। স্বৈরাচারী সরকারের বিগত ১৬ বছর এমন কোন হীন কাজ নেই যা রমজান মিয়া করেনি। অসম্ভবকে সম্ভব করা অন্তজলিলের কাজ হলেও ৯ নং ওর্য়াডের বৃহত্তম বাগবাড়িকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তার শ্বশুর বাড়ি, সমন্দীর ছেলে সাংবাদিক, রমজান মিয়া ১,২,৩ সাবেক যুবলীগের সভাপতি রমাজন মিয়া। বিগত সময়ে স্বৈরাচারী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে ধরাকে সরা ঞ্জান করা রমজানের ছিল কাজ। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে বাগবাড়ি-কুশিয়ারা সংযোগ সরকারী খাল বিক্রি করেছিল। যা তদন্তের জন্য উপজেলা হতে লোক আসলেও তার সমন্দীর ছেলে কথা বলে বিদায় করে দেয়। এ যেন বহুরূপী যুবলীগের ক্যাডার রমজান মিয়ার জন্য রাস্তা আরো সহজ হয়ে যায়। তার আচারনে দেখা মিলে নামা দাম্বকিতা। বেপরোয়া হয়ে উঠে যুবলীগ ক্যাডার রমজান মিয়া। দলীয় প্রভাবের সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের সাথেও গড়ে তুলে গভীর সর্ম্পক।
বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ম নির্বাচনে প্রয়াত আবুল জাহের নির্বাচন করে এহসান উদ্দিন আহমেদের প্রকাশ্য বিরোধিতা করলেও অল্পদিনেই ভোল্ড পাল্টায়। বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের কাছের লোক বনে যায়, আবার চেয়ারম্যান অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে কোন কাজ বা বিভিন্ন প্রকার ভাতা কার্ড আসলেই খবর চলে যায় রমজান মিয়ার কাছে। তিনিও একটু কৌশলে কিছু কার্ড ব্যবস্থা পূর্বক এলাকায় দিলেও হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। অপকর্মের ফিস্তি তুলে ধরলেও লিখে শেষ হবে না। তার বিষয়ে বাগবাড়ি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দৃশ্যপট দেখে মনে হয় সকলে যুবলীগ ক্যাডার রমজান মিয়ার বিষয়ে কথা বলতে নারাজ। ভিডিও ফোকাস তা অসম্ভব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, মহিলা-পুরুষ কমপক্ষে ১০/১৫ জনের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, বাবা আপনারা কারা। রমজান ভাই ভালো মানুষ। আমাদের রাস্তা,সহ নানা সমস্যাগুলো তিনি দেখেন। তবে রাস্তার জন্য স্কেসসহ বিভিন্ন পন্থায় আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। যুবলীগ ক্যাডার রমজান মিয়াকে অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযানে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে বিষধ চাঞ্চল্যকর তথ্য । সরকারী খাল ভরাট করে বিক্রির প্রমানসহ অভিযোগ রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের ১৬ বছরে দলীয় ও ওসমান পরিবারের দাপটে ধরাকে সরা ঞ্জান করা ছিল তার কাজ। দলীয় প্রভাব দেখে মনে হয়,রমজান মিয়া যুবলীগের বিশাল মাপের নেতা। তার কথা ছারা যেন গাছের পাতা নড়ে না। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সামজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এ গামছা বিক্রেতা রমজান মিয়া বর্তমানে ২০/২৫ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বনে গেছে। সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও বিচক্ষণ ব্যবসায়ী। বালু, ড্রেজার, জায়গার, ওয়ারিশ সম্পত্তির কাগজ ক্রয় করে জোড় পূর্বক দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এক সময়ের গামছা, পরে বিভিন্ন প্রকার সবজি ডিগুবাবুর বাজারে গিয়ে বিক্রি করতো।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় তার। কে নিয়েছে টাকা এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন, রমজান ভাইয়ের সাথে থাকে ৫/৬ জন। যেখানে চেয়ারম্যান এহসান সাহেবের লোক বলে পরিচয় দেয়। বিগত ১৬ বছর রমজান মিয়া স্বৈরাচারী সরকারের যুবলীগ ক্যাডার বিশাল এক দাপটে অবস্থানে ছিল। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলে কিছুদিন ঘাপটি মেরে থাকে। সাবেক সাংসদ এড : আবুল কালাম ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার আত্নীয় আনিছুর রহমানের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বাড়ি থেকে বের হওয়া শুরু করে। অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রায় ৮০/৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতিটি লাইজারের জন্য ৫০, ৫৫, ৬০ হাজার করেও টাকা নিয়ে সংযোগ দিত মিয়াজির মন মত। অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার অপরাধে প্রায় অর্ধ ডজনের বেশি মামলার আসামী হলেও ডোন্ট কেয়ার মোডে। গ্যাসের মামলা, ডিবি পুলিশের সাথে গুলাগুলি করার মামলার আসামীসহ ভূমি সংক্রান্ত মামলা অসংখ্য। এত কিছুর পরও রমজান মিয়া বহাল তবিয়তে পূর্বের চেয়ে বেশি দাপটে অবস্থানে।
২৪শে জুলাইয়ে পর বাগবাড়ি মৃধাবাড়ি- কুশিয়ারা সংযোগ সড়ক সংস্কার করার সময় রাস্তা বাইপাস করার জন্য বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে বিশাল পরিমান টাকা তুলে। রাস্তা কাটা, পাইপ স্থাপনসহ বিভিন্ন অজুহাতে টাকা তুলেছে। রাস্তা প্রস্তত ১২ আর ২ পাশে মিলে ১৮/২০ ফুট পাইপের জন্য ১৫ হাজার, ১০,৭,৮, ৩ হাজার করে টাকা তুলে। রাস্তা থেকে ৫শ ফুট দূরে বসবাসরত বাড়ির মালিকদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে। পাইপ স্থাপন বাণিজ্য করেছে প্রায় ৩/৪ লাখ টাকা, রাস্তাসহ, ড্রেনের স্কেস করার জন্য আমিন এনে ঘর প্রতি ৩শ হতে ১ হাজার পর্যন্ত টাকা নেয়ার প্রমানসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে। সূত্রে আরো প্রকাশ, স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে বন্দর উপজেলার বন বিভাগের কর্মকর্তা ও সহকারী মিনু মিয়ার সাথে ভালো সর্ম্পক গড়ে তুলে। যার বদলৌতে রাস্তার (মদনগঞ্জ -মদনপুর) সড়কের বাগবাড়ি এলাকায় গাছ টেন্ডার পায়। মার্ক করা গাছগুলো সরকারীভাবে ক্রয় করলেও অসাধু কিছু কর্তার সাহসে চুরি করে গাছ কাটে। যা তাৎক্ষণিক ভাবে জেলা বন বিভাগের দপ্তরে জানতে পারলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরজমিনে লোক পাঠালে তাদের ম্যানেজ করে। বন বিভাগের লোক ম্যানেজ করে তার সাথে থাকা পার্টনারদের টাকা আত্মসাৎ করে বলে প্রমানসহ অভিযোগ রয়েছে। কে এই রমজান মিয়া, তার বিষধ বিশ্লেষণ বর্তমান অবস্থান ও স্বৈরাচারী সরকারের যুবলীগ ক্যাডার বিএনপির সাবেক সাংসদের আত্নীয় আনিছ মিয়ার সাথে সর্ম্পক আবার বন্দর কাঠপট্টিতে রাজু নামের জাকির খান অনুসারীদের অফিসে গিয়ে সময় দেয়। বহু দরজা পাল্টানো এক পারদর্শী রমজান মিয়ার এমন অবস্থা ও নানা অপকর্মের হোতা হয়েও কিভাবে বহাল তবিয়তে এমনই প্রশ্ন সর্বত্র। প্রশাসনের অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযানে যুবলীগ ক্যাডার রমজান