জাগো নারায়ণগঞ্জ :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাস্ত কাঠামো মেরামত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে বন্দর ১নং খেয়াঘাট এলাকায় গতকাল শনিবার ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে জনসম্পৃক্ততা একটি সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিধি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্ততা ছিলেন সদস্য সচিব আল ইউসুফ খান টিপু।
সভা চলাকালীন সময়ে মঞ্চের অপর পাশে বসে ছিলেন কুখ্যাত চাঁদাবাজ কথিত যুবদল নেতা কাজী সোহাগ। তিনি যুবলীগ নেতা খান মাসুদের সহযোগী নৌকার মাঝি সহ কয়েকজন চাঁদাবাজ নিয়ে আয়োজিত ওই জনসম্পৃক্ততা সভায় উপস্থিত ছিলেন ফুল নিয়ে। সভা চলাকালীন শুরু থেকে তার বাহিনী নিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আল ইউসুফ খান টিপুকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ছটফট করছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছিলেন, বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজের জায়গা হবে না। প্রয়োজনে কানে ধরে বিএনপি থেকে বের করে দেয়া হবে। এছাড়াও তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন দলের নাম ভাঙিয়ে যারা চাঁদাবাজি করবে তাদের বেধে পুলিশে দেওয়ার জন্য। তার এমন বক্তব্যে দলীয় নেতাকর্মীরা উৎসাহিত হলেও বক্তব্যের পর মুহুর্তে পাল্টে যায় চিত্র। এর পরই দেখা যায় মঞ্চে এসে কুখ্যাত চাঁদাবাজ কথিত যুবদল নেতা কাজী সোহাগ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আল ইউসুফ খান টিপুকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পাশে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শিবু দাস। এতে মুহুর্তে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনার মূখে পড়েন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আল ইউসুফ খান টিপু সহ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানান, সরকারের পতনের পর কাজী সোহাগ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, প্রভাব খাটানো, এমনকি দখলের মতো অভিযোগ রয়েছে তার নামে। যেখানে চাঁদাবাজ বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। সেখানে কিভাবে চাঁদাবাজের হাত থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করলেন। এমন ঘটনায় বিভিন্ন ভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।