বন্দর প্রতিনিধি // বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ দলে শুরু হয়েছে খেলা। মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ গুটি কয়েক নেতা কৌশলে এ খেলা নিখুঁত ভাবে পরিচালনা করছে। যা বন্দর উপজেলা নির্বাচনে বেশ প্রভাব পড়বে সরকার দলীয় প্রার্থীর উপর। মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমানের দিকে এ সন্দেহের তীর। জি এম আরমান মহানগরের শীর্ষ পদের নেতা হলেও দরজা পাল্টানো নেতা বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। সাবেক সাংসদ ও আমলা এস এম আকরামের পেত আত্মা হলেন জি এম আরমান। মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক সাংসদ এস এম আকরামের দরজা ছেড়ে এখন এড. খোকন সাহার বলয়ের পরিচয়ে বনে যাচ্ছে। আর সুযোগ বুঝে আঘাত করার চেষ্টা করছে। যা প্রায় নেতাকর্মীদের কাছে অনেকটা পরিস্কার হয়ে গেছে। মূলত প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের বলয়ে কৌশলে ফাটল লাগিয়ে সুবিধা নিচ্ছে। মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ ওই ৩ জনই ওসমান পরিবারের বলয়ের সক্রিয় নেতা। তাদের মাঝে বিভেদ তৈরি করার মিশন আটছে।
সূত্র মতে, আগামী ৮ মে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে স্বাধীনতার স্বপক্ষে শক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ চেয়ারম্যান প্রার্থী। বন্দরের আওয়ামীলীগের অভিভাবক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদের বিজয় নিশ্চিত কল্পে গত ২৩ এপ্রিল মহানগরের বন্দর থানা এলাকার আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ এপ্রিল বিকেলে নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড বন্দরের নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নবান্কুর মাঠে সভার আহবান করেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা। বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদের চেয়ারম্যান (দোয়াত কলম) মার্কাকে বিজয়ী করার জন্যই সভার আহবান করা হয়। মত বিনিময় সভাটি অনেকটা জনসভার আকারে রুপ নেয়। সাংগঠনিকভাবে ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের সক্রিয় করা পূর্বক এম এ রশিদ ( দোয়াত কলম) প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত কল্পে সভায় আলোচনা হয়।
তার ২ দিন পর ২৬ এপ্রিল বিকেলে শহরে এড. খোকন সাহার নিজ কার্যালয়ে বন্দরের (মহানগর) ৯ টি ওর্য়াড আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাদের নিয়ে সভা করেন। সভায় বন্দর থানা এলাকার ৯ টি ওর্য়াডের একাংশের নেতাদের বলা হলেও কথা বলার সুযোগ দেয়নি। নব্য ঘোষিত মহানগর আওয়ামীলীগের বন্দরের ৯ টি ওর্য়াড কমিটি ঘোষণা করলেও সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয় একাংশের নেতাদের। বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদকে বিজয়ে লক্ষে সভার আহবান করলেও দাওয়াত দেয়া হয় একাংশের নেতাদের। যা হীতে বিপরীত মুখি হওয়ার সামিল। যে একাংশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে অনেকে কথা বলতে চাইলেও তাদের থামিয়ে দেন জি এম আরমান এমনই অভিযোগ উপস্থিত থাকা একাধিক নেতার। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এড. খোকন সাহা দাদা একজন কর্মীবান্ধব ও সাংগঠনিক লোক। তিনি আমাদের মনের ভাষা বুঝতেন। কিন্তু আমরাতো কোন কথা বলার সুযোগ পাইনি। জি এম আরমান ভাইয়ের জন্য আমাদের কোন কথাই উপস্থাপন করতে পারিনি। চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদের বিজয় নিশ্চিত কল্পে গত ২৩ এপ্রিল সভার পর ২৬ তারিখ একাংশের নেতাদের নিয়ে সভা করার মানে কি?? যে সভায় দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্থরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তার পর একই থানা এলাকার একাংশের নেতাদের নিয়ে সভার নামে বিভেদ সৃষ্টি করার সামিল। যা সরকারের একটি অংশ হল আওয়ামী লীগ। এম এ রশিদ বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। বীর সেনানী এম এ রশিদকে নিয়ে নিখুঁত মাইন্ডে খেলতে চাচ্ছে জি এম আরমান। সাবেক সাংসদ এস এম আকরামের চাচাতো ভাই হিসেবে পরিচিত জি এম আরমান। এস এম আকরাম অনেকটা সরাসরি কাজ করছে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের হেট্রিক বিজয়ী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেনের জন্য।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা তার মোবাইলে ফোনে বলেন, গত ২৩ এপ্রিলের সভার আহবান করার মূল কারণ ছিল নির্বাচন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ ভাই আমাদের মুরব্বি। উপজেলা নির্বাচনে এম এ রশিদ ভাইকে কিভাবে বিজয়ী করে স্বাধীনতার সূর্য সন্তানকে সম্মানিত করা যায় এ লক্ষে আমাদের সভাটি ছিল। আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। কারন আমরা এক ঘরের ( ওসমান পরিবারের) রাজনীতি করি। ঘর/ দরজা পাল্টানোর নেতা আমরা না। প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান ভাইয়ের ছাড়া অন্য কোন ঘরের রাজনীতি করি না। মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা একজন ত্যাগী ও শামীম ওসমান ভাইয়ের বিশস্ত নেতা।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমানকে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
সার্বিক প্রেক্ষাপটে অনেকটা পরিস্কার ভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে ওসমান পরিবারের বলয় দূর্বল কর। মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ গুটি কয়েক নেতার নোংরা রাজনৈতিক কবলে ত্যাগী নেতারা।