ষ্টাফ রিপোর্টার:
অবশেষে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পাটির সহ-সভাপতি ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মাকসুদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার ৫ মার্চ দিবাগত রাতে বন্দর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে যৌথ বাহিনীর ডেভিল হান্ট অভিযানে আটক হন তিনি। গ্রেফতার নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, মাকসুদ চেয়ারম্যান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের পলাতক সাবেক এমপি একে এম সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। সেই সাথে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি পদের দায়িত্বে ছিলেন। ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ট হওয়ার সেই সুবাদে পরপর তিনবার তিনি মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি ভাগিয়ে নেন।
এলাকাবাসী বলেন, আওয়ামীলীগের দোসর মাকসুদ গ্রেফতার হওয়ার এলাকাবাসীর জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তিনি ও তার ছেলে শুভ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী আওয়ামীলীগের এক নাম্বার দোসর হয়ে ছিলেন। এই আসনে নাঙলের এমপি সেলিম ওসমানের পালিত ছেলে ছিলেন মাকসুদ। সেই সুবাদে মিনিষ্টারি পাওয়ার নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেতেন বাপ ছেলে তার গ্রেফতারি খবর শুনে এলাকাবাসীর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে পেয়েছে।
গত ৫ আগস্টের পর রাজাকারপুত্র মাকসুদ ও তার ছেলে মাহামুদুল হাসান শুভর বিরোদ্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যার একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি টাকার বিনিময়ে মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ করে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতেন। এছাড়াও ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হলেও রাজাকারপুত্র মাকসুদ প্রকাশ্যে সভা, সমাবেশ ও মিটিং করে এমপি প্রার্থীর প্রচারণা চালাতেন।