নিজস্ব প্রতিনিধি: বন্দর থানা সচল হলেও কার্যত এখনো নিষ্ক্রিয় পুলিশ। কোথাও পুলিশের টহলও নেই। এ সুযোগে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে অস্ত্রের মহড়া, অপহরণ, ছিতনাই, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধ।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ পর্যন্ত শুধু বন্দরে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠা, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কাজ না করায় অপরাধ প্রতিনিয়ই বাড়ছে। যার কারণে অপরাধীরা প্রকাশ্যে এসব কাজ করে যাচ্ছে। ধরা পড়ার নজিরও খুবই কম।
পুলিশি টহল না থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে অনিরাপদ হয়ে পড়ছে বন্দরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট। তৎপর হয়ে উঠেছে পেশাদার অপরাধীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, থানাগুলো সচল হলেও আগের মতো মামলা গ্রহণ এবং টহল জোরদার করতে পারছে না পুলিশ। এতে একদিকে বাড়ছে অপরাধ, অন্যদিকে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ। হেনস্তার ভয়ে আইন প্রয়োগে সাহস পাচ্ছেন না পুলিশ সদস্যরা। অন্যদিকে কোনো কোনো পুলিশ সদস্য মামলার ভয়ে পলাতকও রয়েছেন।
এদিকে গত বুধবার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধরা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মাহাবুবকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ওই সময় আরেক হামলাকারী যুবলীগ নেতা দ্বীন ইসলাম প্রকাশ্যে পিস্তল তাক করে রাখে। যা ইতোমধ্যে সিসি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অপর দিকে এক যোগে বন্দর লেদারার্স এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুপক্ষর মধ্যে সংঘর্ষ চলে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ চলে সালেনগর ও হাফেজীবাগ এলাকায়। ছালেনগর এলাকায় মেরাজ হত্যা মামলার আসামি পিংকির নেতৃত্বে হাফেজীবাগ অপর এক গ্রুপের উপর হামলা চালায়। হামলা হয়েছে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায়। মূলতঃ পুলিশের কার্যক্রম না থাকায় বাড়ছে অপরাধ।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সাবদী থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জাতীয় পার্টির নেতা শিপন ও তেল ব্যবসায়ী ডালিম। এঘটনায় বন্দর থানায় ৯ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবার। থানা থেকে সেনাবাহিনী সেখান থেকে থানায় এভাবেই দুইদিন যাবৎ ঘুরপাক খাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার।