স্টাফ রিপোর্টারঃ
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মিনারবাড়ি এলাকায় প্রবাস ফেরত ব্যক্তির জমির উপর জোড় পূর্বক সীমানা দেয়াল নির্মাণ করে জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্রাকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রায়হান উদ্দিন বাদী হয়ে ব্রাক বি.ডি.পি বন্দর শাখার দুইজন ব্যবস্থাপককে অভিযুক্ত করে ২১মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলার আবেদন করেছেন। অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা হলেন ব্রাক বি.ডি.পি বন্দর শাখার ব্যবস্থাপক সাধন কুমার (৪৮) ও সঞ্চয় কুমার (৪৫)।
আদালত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সাথে বন্দর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে সম্পত্তির বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ সহ বিবাদীদের শোকজ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক রিপন।
মামলার বাদী রায়হান উদ্দিন জানান, আমাদের জমিটি হলো ১৬৭ নাম্বার দাগে। আর এস সূত্রে জমির মালিক আমার দাদা, পরে আমার বাবা। আর বাবা আমাকে জমিটি লিখে দেন। সেই সূত্রে বর্তমানে আর.এস রেকর্ডে আমি নিজে এই জমির মালিক। আমি এবং আমার বাবা গোলজার হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমাদের জমিটি আমাদের দখলেই খালি অবস্থায় ছিল। পাশেই ব্রাকের একটি অফিস হয়েছে। বর্তমানে ব্রাকের লোকজন আমাদের জমির উপর জোড়পূর্বক দখল নিতে চাচ্ছেন। এবং আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং আমি আরও আশঙ্কা করছি তারা আমাদের যেকোনো ধরনের ক্ষয় ক্ষতি করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে আমরা নারায়ণগঞ্জ আদালতে ব্রাকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেছি। আদালত মামলা গ্রহণ করে বন্দর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা বন্দর থানার ওসির দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই, উনি যেন বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে সত্য বিষয়টি তুলে ধরে আমাদের ন্যায় বিচার পেতে সহযোগিতা করেন।
বাদীর বাবা গোলজার হোসেন জানান, ব্রাকের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের এই সমস্যা চলছে। ব্রাকের সাথে আমরা একাধিকবার আলোচনায় বসেছি। আমাদের জমি আমরা দখল নিতে গেলেই ব্রাকের সাথে ঝামেলা হয় থানায় অভিযোগ হয় পরবর্তীতে ব্রাকের ওই কর্মকর্তাকে বদলি করে নতুন কর্মকর্তা নিয়ে আসেন। আমি ব্রাকের হেড অফিসেও গিয়েছি সেখানে কোন পাত্তা পাই নাই। বর্তমানে আমার বয়স ৬৫ আমি আমার জমি আমার ছেলের নামে রেজিস্ট্রি করে খারিজ করে দিয়েছি। পৌনে ৯ শতাংশ জমি আমাদের দখলে রয়েছে আর সোয়া ২ শতাংশ জমি ব্রাক দখল করে রেখেছে।
এদিকে দুই পক্ষের মাঝে শান্তি বজায় রাখার জন্য আদালতের আদেশ প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম।